SAKIB'S CLOCK(((S + P))))

মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০১১

অদ্ভুত সব বন

শেরউড বন
শেরউড বনের নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক ডাকাতের নাম। যে কিনা ধনীদের কাছ থেকে লুট করা সম্পত্তি গরিবদের মাঝে ভাগ-বাটোয়ারা করে দিত। হ্যাঁ, রবিনহুডের সেই বিখ্যাত শেরউড বনেরই কথা হচ্ছে। এ বন একসময় সবুজে ভরা ছিল। কিন্তু এখন আর সেই সুন্দর নেই। আগে এই বনটি ছিল ১০০ হাজার একরের। এখন আছে ৪৫০ একর। বছরের পর বছর এ বনের পুরনো ওক গাছগুলো কেটে ফেলায় আজ এ বনের করুণ হাল। বন প্রসঙ্গে আরেকটি বিষয় হলো_ রবিনহুডকে ডাকাত বলা হলেও তিনি কিন্তু ছিলেন গরিবের বন্ধু। আগের দিনের ধনী লোকজন ছিল খুবই অত্যাচারী। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সব ছিনিয়ে নিয়ে রবিনহুড গরিবের মাঝে বিলিয়ে দিতেন।
দি ক্রিসমাস ট্রি
সান্তা ক্লজকে কে না চেনে। ওই যে লাল জামা পরা, মাথায় টুপি আর মুখভরা সাদা দাড়িওয়ালা বুড়ো। যে কিনা বড়দিন এলেই লুকিয়ে লুকিয়ে সবার বাসায় গিয়ে দিয়ে আসে মজার মজার সব উপহার। সান্তা ক্লজের মতো ক্রিসমাস গাছও সবার চেনার কথা। এখানকার এই ফ্রেজার ফার গাছটিও কিন্তু দেখতে বড়দিনের ওই ক্রিসমাস ট্রির মতো। তাই সবাই এই গাছগুলোকে আদর করে ডাকে ক্রিসমাস ট্রি বলে। কিন্তু এই গাছগুলোও মড়ক লেগে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। মড়কের কারণ এক ধরনের পোকা। এই পোকাগুলোর নাম ‘এভেলগিড’ পোকা। এ পোকা ক্রিসমাস গাছের সব পাতা খেয়ে গাছটিকে একেবারে খালি গা করে দেয়। আর এ পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে ১৯৫০ সাল থেকে। কিছুতেই ওদের ঠেকানো যাচ্ছে না।
দি ক্লাউড বন
‘মেঘ বন’, কি চমৎকার একটি নাম! এ বনটি কিন্তু পৃথিবীর অনেক জায়গায় আছে। তবে বেশি দেখা যায় এশিয়া আর আমেরিকায়। এ বন খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ বন হলো বিশুদ্ধ পানি আর বাতাসের একটি বিশেষ উৎস। অন্য বনগুলো তো বাতাসে অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিক রাখে। এ বন তার পাশাপাশি খাবার পানিরও জোগান দেয়। মধ্য আমেরিকার ‘গুয়াতেমালা’ দেশটিতে খাবার পানির প্রায় ৪০ শতাংশই আসে এ বন থেকে। কিন্তু গাছ কেটে ফেলার কারণে এ বনটিও আস্তে আস্তে ছোট হয়ে যাচ্ছে।
  দ্য টংগাস
টংগাস বনটি পৃথিবীর একমাত্র নাতিশীতোষ্ণ রেইনফরেস্ট, যার পাশেই আবার সাগর! আমেরিকানরাও এ খবর ঠিকমতো জানত না! তারা জানতই না যে, তাদের দেশেই নাতিশীতোষ্ণ রেইনফরেস্টের ঘরবাড়ি। বিশ্বের দুটি বড়সড় নাতিশীতোষ্ণ রেইনফরেস্টই তাদের দেশে। তারই একটি এই টংগাস। এটিই আবার যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বন, যার আয়তন ১৭ মিলিয়ন, অর্থাৎ ১৭০ লাখ একর! ভাবা যায়! এ বনের সুন্দর চিরহরিৎ গাছগুলোও দিন দিন কেটে ফেলা হচ্ছে। আর সেগুলো দিয়ে জিনিসপত্র বানিয়ে পাঠানো হচ্ছে এশিয়ায়। বন বড় হলেই কি তাকে কেটে ছোট করে ফেলতে হবে?
দ্য গ্রেট বিয়ার বন
বিয়ার মানে তো ভালুক। ও আবার বন হয় কিভাবে? এ আজব নামের বনটি কানাডার পশ্চিমে সাগরের তীরে অবস্থিত। এর আয়তন ১৫ মিলিয়ন অর্থাৎ ১৫০ লাখ একর। এ বনটিও একসময় হুমকির মুখে ছিল। কিন্তু ২০০৬ সালে এ বনের ৫০ লাখ একর জায়গা বঁাঁচানোর জন্য রীতিমতো একটি চুক্তি করা হয়েছিল। আর এখন এ বনের পুরোটা রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মাউ বন
এ বন আবার পৃথিবীর অনেক পুরনো একটি বন। এ বনটির কেনিয়ার যে অংশ, সে অংশটাই কিন্তু বিশাল, প্রায় ৪০০ হাজার একর! আর এ অংশই এখন হুমকির মুখে আছে। কারণ কি জান? ফসল উৎপাদন আর বাস করার জায়গা বানানোর জন্য। যারা কাজ পায় না, কিংবা যখন কোনো যুদ্ধ হয়, তখন এ বন কেটে জমি তৈরি করে সেই জমি ব্যবহার করা হয়। তবে আশার কথা_ অবশেষে এ বনটিকে বাঁচানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন