SAKIB'S CLOCK(((S + P))))

শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১১

গুরুদাসপুরে বিরল প্রজাতির মাছের সন্ধান


চলনবিলের নন্দকুজা নদীতে সোমবার জেলেদের জালে আটকা পড়েছে বিরল প্রজাতীর মাছ । গুরুদাসপুর উপজেলার মৎস্যজীবী শাহ্ মাহমুদ (৪৫) নদীতে জাল ফেললে তার জালে বিরল প্রজাতির এবং অদ্ভুত আকারের একটি মাছ ধরা পরে। চ্যাপটা আকৃতির মাছটি লম্বায় ৫ ইঞ্চি ও চওড়ায় আড়াই ইঞ্চি । মাছের উপরের অংশ কালছে রংয়ের ও নিচের অংশ সাদা। এই অদ্ভুত আকৃতির কোন মাছ এলাকার কোন নদী বা জলাশয়ে ইতিপূর্বে দেখা যায়নি। অনেকে মাছটি দেখতে ভিড় জমায়। পরে মাছটি কাচেঁর পাত্রে নিয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসে জমা দেয়া হয়।

গুরুদাসপুর উপজেলা মৎস্য অফিসার জিল্লুর রহমান জানান, এই জাতীয় প্রানী তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় ল্যাবে দেখেছেন। মাছটির বসবাস গভীর সমুদ্রের তল দেশে এবং কুকুরের জ্বিহ্বার মত সাদৃশ বলে এর বাংলা নাম কুকুরের জ্বিভ। যার বৈজ্ঞানিক নাম সাইনোগে¬াসাস ব্যাঙ্গোলেনসিস এবং সাধারন নাম ফ্লাট ফিস। গুরুদাসপুর মৎস্য অফিসে কোন এ্যাকুরিয়াম না থাকায় মাছটি সংরক্ষনের জন্য পার্শ্ববর্তী বড়াইগ্রাম উপজেলা মৎস্য অফিসে পাঠানো হয়।

গবেষকদের দাবি: মানুষই হচ্ছে আসল এলিয়েন


সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের গবেষকরা দাবি করেছেন, মানুষই হচ্ছে আসল এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী। গবেষকদের দাবি, মানুষ অন্য কোনো গ্রহ থেকে পৃথিবীতে এসেছে। ভিনগ্রহ থেকে পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের বীজ প্রোথিত হয়েছিল প্রায় ৩৮০ কোটি বছর আগে। টেলিগ্রাফ। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এলিয়েন বিষয়ে নতুন এ তত্ত্ব দিয়েছেন। গবেষক চন্দ্রা বিক্রমাসিংহে দাবি করেছেন, নতুন গবেষণা মানুষের এলিয়েন হওয়ার বিষয়টি সমর্থন করে। কোনো ধূমকেতু থেকে পৃথিবীতে প্রথম কোনো ক্ষুদ্র প্রাণ বা ব্যাকটেরিয়া এসেছিল। পরে তা থেকেই ক্রমান্বয়ে মানুষ তৈরি হয়েছে।
চন্দ্রা আরও জানান, ধূমকেতুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের ফলেই প্রাণের সৃষ্টি হয়েছে। আর এভাবেই মানুষ মহাবিশ্বের একটা অংশ হয়ে গেছে। মহাজগতের সঙ্গে তাদের পূর্বসূত্র রয়েছে।
গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ক্যাম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটির অ্যাস্ট্রোবায়োলজি সাময়িকীতে।
গবেষকদের মতে, প্রতিটি সৌরজগত্ সৃষ্টি হওয়ার সময়ই ধূমকেতু থেকে কিছু ব্যাকটেরিয়া চলে আসে এবং তারা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে। এরপর এগুলো বাড়তে থাকে এবং জটিল প্রাণের উদ্ভব ঘটে। একভাবেই অন্যান্য গ্রহেও প্রাণ সৃষ্টি হয়েছে এবং এক গ্রহ থেকে আরেক গ্রহে প্রাণের স্থানান্তর ঘটছে।


সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের গবেষকরা দাবি করেছেন, মানুষই হচ্ছে আসল এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী। গবেষকদের দাবি, মানুষ অন্য কোনো গ্রহ থেকে পৃথিবীতে এসেছে। ভিনগ্রহ থেকে পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের বীজ প্রোথিত হয়েছিল প্রায় ৩৮০ কোটি বছর আগে। টেলিগ্রাফ। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এলিয়েন বিষয়ে নতুন এ তত্ত্ব দিয়েছেন। গবেষক চন্দ্রা বিক্রমাসিংহে দাবি করেছেন, নতুন গবেষণা মানুষের এলিয়েন হওয়ার বিষয়টি সমর্থন করে। কোনো ধূমকেতু থেকে পৃথিবীতে প্রথম কোনো ক্ষুদ্র প্রাণ বা ব্যাকটেরিয়া এসেছিল। পরে তা থেকেই ক্রমান্বয়ে মানুষ তৈরি হয়েছে।
চন্দ্রা আরও জানান, ধূমকেতুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের ফলেই প্রাণের সৃষ্টি হয়েছে। আর এভাবেই মানুষ মহাবিশ্বের একটা অংশ হয়ে গেছে। মহাজগতের সঙ্গে তাদের পূর্বসূত্র রয়েছে।
গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ক্যাম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটির অ্যাস্ট্রোবায়োলজি সাময়িকীতে।
গবেষকদের মতে, প্রতিটি সৌরজগত্ সৃষ্টি হওয়ার সময়ই ধূমকেতু থেকে কিছু ব্যাকটেরিয়া চলে আসে এবং তারা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে। এরপর এগুলো বাড়তে থাকে এবং জটিল প্রাণের উদ্ভব ঘটে। একভাবেই অন্যান্য গ্রহেও প্রাণ সৃষ্টি হয়েছে এবং এক গ্রহ থেকে আরেক গ্রহে প্রাণের স্থানান্তর ঘটছে।



আগ্নেগিরির অজানা কথা! ৯০ শতাংশ জীবন্ত আগ্নেয়গিরির অবস্থান দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে


* বিশ্বের ৯০ শতাংশ জীবন্ত আগ্নেয়গিরির অবস্থান দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে। এ অঞ্চলে রয়েছে ১১০০- এর অধিক সক্রিয় বা জীবন্দ আগ্নেয়গিরি। এত বেশি সংখ্যক আগ্নেয়গিরির অবস্থানের কারণে এ অঞ্চলকে বলা হয় রিং অব ফায়ার বা অগ্নিবলয়।
* স্মিথসোনিয়ান, ইনস্টিটিউটের ভলকানোজ অব দ্য ওয়াল্ড বুক-এর তথ্যতমে, পৃথিবীতে জীবন্ত আগ্নেয়গিরির সংখ্যা ১৫১১টি।
* ইতালির ভিসুভিয়াসের অগ্ন্যুৎপাতই বিশ্বের সর্বপ্রথম আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত। ৭৯ ঈসায়ীব্দে এ অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে।
* সবচেয়ে উত্তপ্ত লাভা নির্গত হয় হাওয়াই দ্বীপের আগ্নেয়গিরি থেকে। লাভার উত্তাপ থাকে প্রায় ১১৭০ ডিগ্রী সেন্টিগেড।
* উনিবিংশ শতকে বিশ্বে সবচেয়ে বিপর্যয়কর ও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে ইন্দোনেশিয়ায়। ১৮১৫ সালে জাভার তামেেবারা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত প্রায় ৯২ হাজার মানুষ নিহত হয়।
* বিশ্বের বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি ‘মনোলোয়’। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে এটি অবস্থিত। প্রায় ৫১২৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে মনোলোয়ার অবস্থান। আয়তন প্রায় ৪০ হাজার ঘনকিলোমিটার। মনোলোয়ায় সর্বশেষ ১৯৮৪ সালে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল। উল্লেখ্য, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ ২০টি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত, যা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলেই সৃষ্টি হয়েছিল।

* বিশ্বের উচ্চতম আগ্নেয়গিরি হল ‘ওহোস ডেল সালাডো’। এটি চিলি ও আর্জেন্টিনা সীমান্তে অবস্থিত।

* বিশ্বের সর্ববৃহৎ আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ ইন্দোনেশিয়ায় টোবা। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৭৭৫ বর্গ কিলোমিটার।
*জাপানে প্রায় ২০০টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এর মধ্যে ৬০টিরও বেশি জীবন্ত।




পাথরখেকো মানুষ!


মানুষের বিশাল খাদ্য তালিকায় পাথরের নাম নেই। অথচ এই পাথর খেয়েই দিব্যি বেঁচে আছেন একজন আবদুল করিম। বয়স এখন ৬০। দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে পাথর খাচ্ছেন। কখনো পেটের পীড়া কিংবা অন্য কোনো সমস্যায় আক্রান্ত হননি। আখাউড়া রেলস্টেশন এলাকায় ফুটপাতের পাশে বসে অবলীলায় পাথর খেয়ে যান আবদুল করিম। শুধু পাথর নয়, পাথরের পাশাপাশি কাচের টুকরোও আছে তার খাদ্য তালিকায়।

আবদুল করিম অবশ্য স্বাভাবিক খাদ্যও খান। ভাত, চা, বিস্কুটসহ সবধরনের খাবার। পাথর খাচ্ছেন কেন জিজ্ঞেস করতেই সামনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা দুই-পাঁচ টাকার নোট ও কয়েন দেখিয়ে বললেন, ‘টাকার জন্য। এটাই আমার পেশা। এই থেকে নিজের খাবার ও বাড়িতে বুড়ো মায়ের খাওয়াদাওয়ার জন্য টাকা পাঠাতে হয়।’
পাথর খাওয়া বলতে যে বড় বড় পাথর দাঁতে ভেঙে খান, তা নয়। পাথর না বলে পাথরকুচি বলাই ভালো। খান বেশ শব্দ করে চিবিয়ে চিবিয়ে। বড় ধরনের টুকরো হলে চিবানোর ঝামেলায় না গিয়ে গিলে পেটের ভেতর চালান করে দেন।
আখাউড়া রেলস্টেশনে রাতদিন হাজার লোকের আনাগোনা। যাত্রী উঠছেন, নামছেন। কৌতূহলীরা আবদুল করিমের পাথর খাওয়া দেখে অবাক মানছেন। কেউ কেউ টাকা-পয়সাও দিচ্ছেন। এটাই আবদুল করিমের আয়ের উত্স। বেশি কৌতূহলীদের কেউ কেউ করিমের পেটেও হাত দিয়ে দেখেন। চাপ দিলে পাথরের ঘরঘর আওয়াজ পান।
আবদুল করিম আখাউড়ার স্থায়ী বাসিন্দা নন। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের জসিহাটি। একটু ভাবুক টাইপের আবদুল করিম জানালেন, জীবিকার তাগিদেই তিনি পাথর খাওয়া শিখেছেন। ১৫ বছর বয়সে বাবা ফারুক হোসেন মারা যাওয়ার পর চার ভাইবোনের সবার বড় করিম বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। ঘুরতে ঘুরতে আজমিরে খাজা বাবার মাজারে গেলে সেখানে চিশতী নামক এক ওস্তাদের কাছে পাথর খাওয়ার তালিম নেন। সে থেকে শুরু। ৪৫ বছর ধরে পাথর খেয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তার কোনোই ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করলেন করিম।
থাকার জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্থান নেই আবদুল করিমের। রাতে স্টেশনের ফুটপাতে পড়ে থাকেন। মাঝেমধ্যে অবশ্য লাপাত্তা হয়ে যান। সে সময় কোনো পীর-মুর্শিদের দরগাই নাকি তার ঠিকানা হয়।
এদিকে পাথর খান বলে স্থানীয় লোকজনের কাছে আবদুল করিম ‘পাথর শাহ’ নামে পরিচিত।

সুখে থাকলে ভূতে কিলায়! যেমনটা হয়েছে লিবিয় জনগণের


বাংলা ভাষায় একটা প্রবাদ আছে, "সুখে থাকলে ভূতে কিলায়।" এখন দেখা গেল সুদূর লিবিয়াতেও সেটা প্রতিষ্ঠিত । আসুন দেখে নিই গাদ্দাফির নেতৃত্বে লিবীয়দের অর্জনঃ
● আই এম এফ, বিশ্বব্যাং ক বা অন্য কারো কাছে লিবিয়ার এক পয়সাও দেনা নেই!!!
● উত্তর আফ্রিকার সবচেয়ে সাক্ষর দেশ লিবিয়া!!!
● লিবিয়ায় শিক্ষিত জনসংখ্যার ৮০% লোক পশ্চাত্যের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত!!!
● একটি আধ কেজি রুটির দাম লিবিয়ায় পনেরো ইউ এস সেন্ট (আমার ...দেশে ৪৫০ গ্রাম ওরিয়েন্ট পাউরুটির দাম পয়তাল্লিশ সেন্ট আমাদের মাথা পিছু আয় লিবীয়দের আয়ের ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ)!! !
● লিবিয়দের জন্যে ঋণের সুদের হার শুন্য শতাংশ!
● লিবিয়া একটি ভিক্ষুকহীন দেশ!!!
● ১০০% বেকারের বেকার ভাতা নিশ্চিত!!!
● বিয়ের পর বিনা মূল্যে দম্পতির জন্যে ফ্ল্যাট বা বাড়ী!!!
● পৃথিবীর যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ে পড়ার সুযোগ, সে জন্যে মাসে ২,৫০০ ইঊ এস ডলার বৃত্তিসাথে গাড়ি ও আবাসনভাতা!!!
● ন্যাটোর বোমাবর্ষনে র আগে পর্যন্ত শূন্য (০) শতাংশ গৃহহীন নাগরিক!!!
● উৎপাদন মূল্যে (Ex factory price) গাড়ি!!!
● ছাত্রেরা যে বিষয়ে পড়াশোনা করে সে বিষয়ে পড়াশোনা করে চাকুরী`রতর া গড়ে যে বেতন পেত সে পরিমান টাকা তাদের দেয়া!!
● প্রতিটি লিবীয়র জন্যে বিনা মূল্যে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সেবা!!!

বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১১

মস্তিষ্কঃ যে যন্ত্রটি দিয়ে আমরা ভাবি


আবারও আরেকটা ডিসক্লেইমার দিয়েই শুরু করছি লেখাটা, আমাদের আচরণের ‘কতটুকু জৈবিক এবং কতটুকু সাংষ্কৃতিক’ নিয়ে একটা পর্বটা লেখার পর মস্তিষ্কের গঠন এবং বিকাশ নিয়ে আরও বেশ কয়েকটা বই এবং নতুন গবেষণা পড়তে শুরু করেছিলাম। আর সে জন্যই দেরী হয়ে গেল এই লেখাটা দিতে। এই লেখাটার শিরোনাম থেকেই বোধ হয় বুঝতে পারছেন যে,আগের লেখাটার অকাল মৃত্যু ঘটেছে। ফরিদ ভাই প্রায়শঃই বলেন পরের পর্ব লেখার প্রতিজ্ঞা করে কোন লেখা শেষ করলে সেই লেখা নাকি আর কখনও ব্লগের আলো দেখে না।ওনার কথা পুরোপুরি ফলে না গেলেও কিছুটা তো গেলই। যারা ওই লেখাটাতে মন্তব্য করেছিলেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এ ব্যাপারে তাদের মতামত জানানোর জন্য। এখন বুঝতে পারছি আজকের আধুনিক বিবর্তনীয় মনোবিদ্যার বিভিন্ন গবেষনা এবং দাবীগুলোকে সঠিকভাবে বুঝতে হলে মানুষের মস্তিষ্কের গঠন এবং বিকাশটা বোঝা খুব জরুরী। ব্যাপারটা অনেকটা সারা রাত রামায়ণ পড়ে সীতা কার বাপ বলে চিৎকার করে ওঠার মতও বলতে পারেন। বিবর্তনীয়ভাবে আমাদের মস্তিষ্ক কতটুকু নমনীয়তা বা স্থিতিস্থাপকতা ধারণ করতে সক্ষম বা মস্তিষ্কের মত এত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের বিকাশ কীভাবে ঘটেছে, আমাদের জন্মের আগে এবং পরে মস্তিষ্কের গঠন কীভাবে বদলায়, বংশগতিয় পরিবেশের সাথে তার মিথষ্ক্রিয়াটা ঠিক কীভাবে কাজ করে, এগুলো সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা না থাকলে খালি প্রান্তিক কিছু বিষয়ের চৌহদ্দিতে মাথা ঠুকরে মরতে হবে, তর্ক বিতর্কও চলতে থাকবে উপরে উপরে ভাসাভাসা ভাবেই। বিবর্তনীয় মনোবিদ্যার ভিতরে ঢুকতে হলে, এর মধ্যে কতটুকু বাজারে কাটতি বাড়ানোর জন্য লেখা ‘পপ বিজ্ঞান’ এবং কতটুকু সত্যিকারের বিজ্ঞান তা বুঝতে হলে মস্তিষ্কের গভীরে ঢোকা ছাড়া বোধ হয় গত্যন্তর নেই। চলুন এবার মনোবিদ্যা দিয়ে শুরু না করে মননের উৎপত্তিস্থল মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে দেখি কতদূর এগুনো যায়।

মস্তিষ্কের বিবর্তন নিয়ে লিখতে চাচ্ছি বহুদিন ধরেই কিন্তু কিছুতেই সাহস করে উঠতে পারছিলাম না। একে তো মস্তিষ্কের ব্যাপার স্যাপার বেশ জটিল,তার উপর আবার দেহের এই এনার্জিখেকো(দেহের ওজনের মাত্র শতকরা ২ ভাগ ওজনের অংগটিকে সচল রাখতে ২০% এনার্জি ব্যয় করতে হয় আমাদের), জিনখেকো(মানুষের জিনোমের প্রায় ২৩-২৫ হাজার জিনের ৭০% নাকি এক্সপ্রেসড হয় মস্তিষ্কে) ৩ পাউন্ডের নরম অংগটি সম্পর্কে আমরা এখনও অনেক কিছুই জানি না (১)। আসলে ব্যাপারটা এতখানি জটিল বলেই তো আমরা এ সম্পর্কে এখনও এত কম জানি! এ প্রসঙ্গে ডঃ শন ক্যারল তার এন্ডলেস ফর্মস মোষ্ট বিউটিফুল বইতে আইবিএম এর এক কম্পিউটার রিসার্চ সাইন্টিস্ট এর মজার এক উক্তি উদ্ধৃত করেছিলেন,’ if the human brain was so simple that we could understand it, we could be so simple that we could not’. ( এই কথাটার বাংলা করতে পারছি না, কেউ করে দিলে উপকৃত হব)

তবে আশার কথা হচ্ছে গত এক দশকে এ বিষয়টা নিয়ে প্রায় কালবৈশাখীর গতিতে কাজ শুরু হয়ে গেছে। ১৯৮১ সালে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী জীববিজ্ঞানী পিটার মিডাওয়ার দুঃখ করে বলেছিলেন, মানুষের মনের উন্মেষ নিয়ে গবেষণা করতে হলে আমাদের হাতে একটি মাত্র পথই খোলা আছে, আর তা হল দুটো মানুষের মধ্যে ব্যবহারের পার্থক্য নির্ধারণ করে তা থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো। মাত্র তিন দশক আগের কথা; তার এই বক্তব্যের সাথে আজকের রিসার্চগুলোর পরিধি তুলনা করলেই কিন্তু বোঝা যায় গত তিন দশকে আমরা কতটা এগিয়ে গেছি। আজ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি হাতে হাত রেখে অকল্পনীয় গতিতে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে। শুধুমাত্র দুই ব্যক্তির ব্যবহারের পার্থক্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ থেকে সিদ্ধান্ত টানার দিন ফুরিয়েছে। আমরা প্রথমবারের মত একদিকে যেমন পূর্ণাংগ জিনোমের খুঁটিনাটি সম্পর্কে বুঝতে শুরু করেছি,ভ্রূণাবস্থায় বিভিন্ন জিনের এক্সপ্রেশন বা কর্মকান্ড ও বিকাশ প্রত্ক্ষ্য করছি, ঠিক তেমনিভাবে উঁকি মেরে দেখতে সক্ষম হচ্ছি আমাদের মস্তিষ্ক নামক রহস্যময় অংগটির ভিতরে। এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তরই হয়তো অজানা রয়ে গেছে কিন্তু যে গতিতে আমরা আগাতে শুরু করেছি তা তে করে ‘আরো অনেকখানি’ জানতে হয়তো খুব বেশী দিন অপেক্ষা করতে হবে না।

মস্তিষ্ক নিয়ে লিখতে গেলে আরেকটা কঠিন সমস্যার সম্মুখীণ হতে হয়। এমন সব বিষয় উত্থাপন করতে হয় যাকে শুধু ‘বোরিং’ বললে আসলে কমই বলা হবে। এ যেন শাখের করাত, ‘হিপোক্যম্পাস, থ্যালামাস বা এ্যমিগডালা কাহাকে বলে’, জাতীয় রসকষহীন গালভরা পাঠ্যবই মার্কা কথাবার্তাগুলো না লিখে যেমন আগানোও যায় না আবার এগুলো নিয়ে লিখতে বসলেই পাঠকের দূর্গতি তো অনেক পরের কথা,নিজের দূরাবস্থার কথা মনে করেই ডাক ছেড়ে কাঁদতে ইচ্ছে করে। মনে হয় কেউ যেন হ্যারি পটারের সেই চেতনা-শুষে নেওয়া ভয়াবহ ডিমেন্টেটরদের মত দম শুষে নিয়ে আমার এই রক্তমাংসের দেহটাকে তেজপাতার মত ছিবড়ে বানিয়ে দিচ্ছে। তাই ভাবছি একটু অন্যভাবে শুরু করলে কেমন হয়, আলোচনার খাতিরে এখানে সেখানে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের গঠনের প্রসংগ আসলেও সেটাকে মূল আলোচনা হিসেবে আনা হবে না। মুক্তমনার ব্লগার নীল রদ্দুর ইতোমধ্যেই এই দূরহ কাজটায় হাত দিয়েছেন, তাই ভাবছি আমি আরও পথে পা বাড়াবো না। মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের গঠন নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন পড়লে নীল রোদ্দুরের মস্তিষ্কে অনুরণন লেখাটি থেকেই দেখে নেওয়ার ব্যবস্থা করবো।

শীবের গীততো অনেকই হল চলুন এখন মূল প্রসঙ্গে ঢোকা যাক। ইংরেজি ভাষায় মুরগি কেন রাস্তা পার হল এ নিয়ে অসংখ্য কার্টুন, জোক্স এবং কমিক আছে। এরকম দু’জন মোরগ এবং মুরগির গল্প দিয়েই মানুষের মস্তিষ্কের গল্প শুরু করা যাক। সম্বোধনের সুবিধার জন্য তাদের নাম দেওয়া যাক আবুল এবং রহিমা।

মোরগ আবুল এবং মুরগি রহিমা দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার এ পারে। রাস্তা পার হয়ে ওপারে যাবে তারা। দেখা গেল মুরগী রহিমা দুপায়ে দৌড়ে,প্রায় অর্ধ-উড়ন্ত অবস্থায় ওপারে পৌঁছে গেলেন। কিন্তু মোরগ আবুল কেমন যেন ইতস্তত করতে থাকলেন এবং শেষ পর্যন্ত রাস্তাটি পার না হয়ে কেমন যেন বিহবল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন ।আবুল কেন রাস্তা পার হলেন না, তার সঙ্গিনী তড়তড় করে চলে যাওয়ার পরও উনি কেন ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলেন? উনি কী ঠিকমত দেখতে পাচ্ছিলেন না, নাকি উনি যা দেখছিলেন তার মাথমুন্ডু কিছুই বুঝতে পারছিলেন না, নাকি রাস্তা কীভাবে পার হতে হয় সেই মেমরিটি হঠাৎ করেই তার মস্তিষ্কে আর আর কাজ করছিল না। এমনও তো হতে পারে যে, রাস্তা পার হওয়ার ইচ্ছার সাথে পেশীর নাড়ানোর জন্য স্নায়ুতন্ত্রের যে সমন্বয়ের দরকার তা সেই মুহূর্তে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। কিংবা, হয়তো ব্যাপারটা আদৌ জটিল কিছু নয়, আবুল হয়তো রহিমার সাথে দীর্ঘদিনের এই সম্পর্কটায় হাপিয়ে উঠতে শুরু করেছিলেন, তার হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার ইচ্ছাটা প্রবল হয়ে যাওয়ায় ইচ্ছে করেই আর রাস্তাটা আর পার হলেন না? কয়েক দশক আগেও আবুল কেন রহিমার সাথে রাস্তা পার হল না এর কারণ বিশ্লেষণ করতে গেলে জীববিজ্ঞানী এবং মনস্তত্ত্ববিদদের মধ্যে রীতিমত গন্ডোগোলই বেঁধে যেত। মনস্তত্ত্ববিদের হয়তো বলতেন,রহিমের আবেগ এবং ইচ্ছাটাই এখানে প্রধাণ কারণ, এই ‘স্বাধীন ইচ্ছা’র পিছনে বংশগতিয় কারণ টেনে আনাটা হাস্যকর। ওদিকে জীববিজ্ঞানীরা হয়তো বলতেন, এর পিছনের কারণটা বংশগতিয় না হয়েই যায় না, নিশ্চয়ই সেই মুহূর্তে রাস্তা কী করে পার হতে হয় মস্তিষ্কে ধারণ করে রাখা সেই মেমরিটা ফেল মেরেছিল। জিন এর সাথে মনন এবং আচরনের সম্পর্কগুলো বের করার জন্য বেশীভাগ সময়েই বিজ্ঞানীরা মিউট্যান্ট ব্যবহার করেন।ধরুন,একটি ইদুঁর স্বাভাবিক সময়ে কীরকম ব্যবহার করে বনাম তাদের দেহে কোন বংশগতিয় পরিবর্তন ঘটালে ব্যবহারের কী পরিবর্তন ঘটতে পারে সেটার তুলনা করেই বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্ত টানেন। আগে, গবেষণাগারের ইদুঁরগুলো যখন কোন পূর্ব-চেনা গোলকধাঁধা মধ্যে দিয়ে রাস্তা খুঁজে বের করে খাওয়া খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হত তখন সাধারণভাবেই তাকে মেমরির ব্যার্থতা বলেই ধরে নেওয়া হত (2)। আর এ কারণেই যে বুদ্ধিবৃত্তিক বৈশিষ্ট্য,মনন,আচার আচরনগুলো শুধুই ‘মানবিক’, অর্থাৎ যেগুলো অন্য প্রাণীর মধ্যে দেখা যায় না সেগুলো নিয়ে গবেষণা করা অত্যন্ত কঠিন, কারণ মানুষের উপর মিউটেশন ঘটিয়ে বিভিন্ন ধরণের জিনের এক্সপ্রেশন ঘটানো তো আর সম্ভব নয়।

তবে মনোবিজ্ঞানী এবং জীববিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রায় সাপে নেউলে সম্পর্কের দিন মনে ফুরোতে শুরু করেছে। জন বি ওয়াটসনের সেই ডজন শিশু নিয়ে করা বিখ্যাত উক্তিটার কথা তো আমরা অনেকই শুনেছি। এক ডজন সুস্থ সদ্যজাত শিশুকে বড় করার জন্য এনে দিলে তিনি এদের যে কাউকে নাকি ইচ্ছেমত ডাক্তার, উকিল,আর্টিস্ট, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পথের ভিখারী বা চোর বানিয়ে ছেড়ে দিতে পারবেন। তাদের স্বভাব, চরিত্র,রুচি,পছন্দ অপছন্দ, বুদ্ধিবৃত্তিক ট্যালেন্ট, ক্ষমতা বা বাপ-দাদার ইতিহাস কিছুই এখানে ব্যাপার নয়, উনি এ সব কিছুর উর্ধ্বে গিয়ে, শুধুমাত্র প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নাকি এদের ভবিষ্যত গড়ে দিতে পারবেন (৩)। বিহেভিয়ারিস্ট সাইকোলজির প্রবক্তা বি এফ স্কিনারের সেই বিখ্যাত দাবীটিই বা কম যায় কিসে? মানুষের মস্তিষ্ক নাকি ‘ব্ল্যাঙ্ক স্লেট’ ছাড়া আর কিছু নয়, এর পিছনে কোন বংশগতিয় বাধ্যবাধকতা নেই, আমাদের মনন এবং ব্যক্তিত্ব শুধুমাত্রই অভিজ্ঞতা এবং বিশেষ করে শৈশবের অভিজ্ঞতা দ্বারাই নির্ধারিত হয়। আবার ওদিকে নেচারিস্টদের মুখেও অহরহ শোনা যেত যে মানবিক গুণাবলীগুলো প্রধাণত জিন দ্বারাই নির্ধারিত, চরম কোন পরিবেশের প্রভাব সৃষ্টি না হলে আমাদের চারপাশের অভিজ্ঞতা এগুলোর উপর নাকি কোন প্রভাব ফেলে না!

নাহ, এরকম উক্তিগুলো এখন আর তেমন একটা শোনা যায় না। গত প্রায় এক দেরশ’ বছরে বিভিন্ন সময়ে এ ব্যাপারটা নিয়ে বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনাগুলো পেন্ডুলামের মত এক প্রান্ত থেকে আরেক্প্রান্তে ঘোরাঘুরি করলেও এখন মোটামুটিভাবে মাঝখানে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে মনে করার কোন কারণ নেই যে এ নিয়ে বিতর্কের নটে গাছটি মুড়িয়েছে। বিতর্ক চলছে পুরোদমেই, তবে বিতর্কের পরিধি এখন দুই চরম প্রান্ত থেকে ক্রমশঃ মাঝখানে সরে আসতে শুরু করেছে। মস্তিষ্কের উপর গবেষণা যতই আগাচ্ছে ততই এ ধরণের চরম অবস্থানগুলোর অসাড়তা প্রমাণিত হচ্ছে। এখন পরিষ্কারভাবেই দেখা যাচ্ছে যে আমাদের চিন্তা ভাবনা, বুদ্ধিবৃত্তি বা ব্যবহারগুলোর উপর জেনেটিক্স এবং পরিবেশ বা সংষ্কৃতির এক জটিল মিথষ্ক্রিয়া কাজ করে, এরা একে অপরকে অনবরতভাবে প্রভাবিত করতে থাকে।

এ বিষয়টির উপর যমজ শিশুদের নিয়ে প্রচুর গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছে। এগুলো থেকে ক্রমশঃ পরিষ্কার হয়ে উঠতে শুরু করেছে যে কিছু বৈশিষ্ট্যের পিছন জিনের প্রভাব প্রবল আবার অন্যগুলোর উপর ততটা প্রবল নাও হতে পারে, কোন কোন ক্ষেত্রে পরিবেশও আসলে বিশাল ভূমিকা রাখে। সদৃশ এবং অসদৃশ (আইডেন্টিকাল এবং নন-আয়ডেন্টিকাল) যমজদের উপর গত কয়েক দশকে প্রচুর কাজ হয়েছে এ নিয়ে। এই গবেষণাগুলো থেকে যা বোঝা যেতে শুরু করেছে তা কিন্তু বেশ মজার। যেমন ধরুন, আমাদের ব্যক্তিত্বর তুলনায় বুদ্ধিমত্তার উপর নাকি জিনের প্রভাব অপেক্ষাকৃত কম। সাধারণ বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে, শতকরা ৫০ ভাগ সরাসরি জিনের সাথে সম্পর্কযুক্ত হলেও বাকি অর্ধেকের উপর পরিবেশের বেশ কড়া প্রভাব রয়েছে (৪)। মধ্যবিত্ত পরিবারে যমজ শিশুদের একজন বড় হলে, দরিদ্র পরিবারে বড় হওয়া আরেক যমজ ভাই বা বোনের তুলনায় তার বুদ্ধিমত্তা অপেক্ষাকৃত ভালো হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশী থাকে। একইভাবে যমজদের একজন উচ্চবিত্ত পরিবারে এবং আরেকজন মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হলে কিন্তু আবার তাদের মধ্যে বুদ্ধিমত্তার তেমন কোন হেরফের দেখা যায় না। অর্থাৎ, সাধারণ বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে জিন এবং পরিবেশ দুইএরই ভূমিকা থাকলেও, চরম পরিবেশে জিনের চেয়ে পরিবেশের প্রভাব কর্তৃত্ব করতে পারে। কিন্তু পরিবেশে চরম কোন পার্থক্য না থাকলে বুদ্ধিমত্তার উপর জিনের প্রভাব প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে (৪)।ব্যাপারটা অনেকটা ভিটামিনের মত। আপনার শরীরে যদি ভিটামিনের অভাব থাকে তাহলে বিভিন্ন ধরণের মারাত্মক সমস্যা দিতে পারে, কিন্তু আপনি যদি সারাদিন ধরে সাপ্লিমেন্ট খেয়ে খেয়ে শরীরে শতকরা দুই চার বা পাঁচশ ভাগ ভিটামিনের সাপ্লাই দিতে শুরু করেন তাহলে কিন্তু বাড়তি কোন লাভ হবে না। অর্থাৎ, আপনার শিশু মধ্যবিত্ত স্বচ্ছলতার মধ্যে থেকে যে সুযোগ সুবিধাগুলো পাচ্ছে তা দিয়েই মস্তিষ্কের অপ্টিমাম বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশগুলো ঘটানো সম্ভব, আরও অঢেল বিলাসিতা বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে বাড়তি কোন সুবিধা নাও দিতে পারে।

জীববিজ্ঞানের একটি নতুন শাখা কগনিটিভ নিউরোসাইন্স বা কগনিটিভ স্নায়ুবিজ্ঞানে এগুলো নিয়ে প্রচুর কাজ হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে দুই একটি গবেষণার উদাহরণ দেওয়ার লোভ সামলাতে পারছি না। ২০০২ সালে সাইন্স জারনালে প্রকাশিত একটি রিসার্চ দিয়েই শুরু করি। অনেক সময় চাপযুক্ত সংসারে বা সহিংস পরিবেশে বড় হয়েও দেখা যায় এক ভাইয়ের জীবনে এর তেমন কোন ছাপই পড়েনি। আর ওদিকে আরেক ভাইয়ের জীবন এমনই তামা তামা হয়ে গেছে যে সাধারণ মানুষের মত জীবনযাপন করাই হয়ে উঠলো না তার। এর পিছনের সম্ভাব্য কারণগুলো নিয়ে বিজ্ঞানীরা বহুদিন ধরেই হিমশিম খাচ্ছেন। আধুনিক গবেষণাগুলো থেকে বিজ্ঞানীরা আজকাল বুঝতে শুরু করেছেন যে, এ ধরণের জটিল সমস্যাগুলোর পিছনে ‘শুধু পরিবেশ বা শুধু জিন’ এককভাবে কাজ নাও করতে পারে। ডিউক ইউনিভার্সিটির নিউরসাইন্স সাইকিয়াট্রি এবং বিহেভিয়ারাল সাইন্সের অধ্যাপক ডঃ এ্যভশ্যলম কাস্পি এবং তার দল এ ধরণের বিষয়গুলো নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। তারা বহু বছর ধরে ছেলে শিশুদের বেশ বড়সড় একটা নমুনাক্ষেত্রের উপর একটি গবেষণা করেছিলেন। খুব চাপযুক্ত পরিবেশে অত্যাচার, নির্যাতন মধ্যে বড় হলে কোন কোন শিশু পরবর্তী জীবনে সহিংস এবং অসামাজিক হয়ে উঠলেও বাকিদের মধ্যে এর ছাপ পড়ে না কেন? তাদের গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে যে পরিবেশের পাশাপাশি এর পিছনে একটি বংশগতিয় কারণও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ব্যাপারটা সংক্ষেপে অনেকটা এরকম, একটি বিশেষ জিনের ভিতরে বহুরূপতার (functional polymorphism) কারণে MAOA (Monoamine Oxidase A) নামক একটি রাসায়নিক অনুঘটকের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। যে শিশুদের মধ্যে এই MAOA এর পরিমাণ বেশী থাকে তারা সামাজিক বা পারিবারিক চাপকে অপেক্ষাকৃত ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারে। এই গবেষণার ফলাফলটি যদি সঠিক প্রমাণিত হয় তাহলে আংশিকভাবে হলেও হয়তো আমরা বুঝতে পারবো কেন নির্যাতিত শিশুদের অনেকে সহিংস হয়ে ওঠে কিন্তু আবার অনেকে এর প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে সক্ষম হয় (৫)।

ডঃ কাস্পির আরেকটি গবেষণার কথা উল্লেখ করছি। সাইন্স জারনালে প্রকাশিত এই গবেষণাটিতে উনি প্রস্তাব করেছেন যে, বিষন্নতার পিছনেও এ ধরণের জিন এবং পরিবেশের যৌথ ভূমিকা কাজ করতে পারে (৬) (নীচে তথ্যসূত্রে এই গবেষণা দুটোর এ্য্যবস্ট্রাক্টগুলো দিয়ে দিলাম, উৎসাহী পাঠক পড়ে নিতে পারেন) সাইন্টিফিক আমেরিকান মাইন্ডের মে/জ়ুন ২০১০ সংখ্যায় বাচ্চাদের মধ্যে লিংগ বৈষম্যজনিত ব্যবহারগুলোর কতটুকু বংশগতিয় এবং কতটুকু পরিবেশগত তা নিয়ে একটি চমৎকার প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। এই গবেষণাগুলো নিয়ে এখন আর কথা বাড়াচ্ছি না, পরবর্তী পর্বগুলোতে এগুলো নিয়ে আরও বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে রইলো।

এখন ‘পরিবেশবাদী’ই বলুন আর ‘জিনবাদী’ই বলুন, সবাই খুব পরিষ্কারভাবে বুঝতে শুরু করেছেন যে আমাদের মনন, বুদ্ধিমত্তা, আচার ব্যবহারের মত জটিল ব্যাপারগুলোর ব্যাখ্যা ‘এস্পার বা ওস্পারের’ মত সাদা কালো ব্যাপার নয়। মোরগ আবুলের রাস্তা পার হতে ব্যর্থ হওয়ার পিছনে শুধুমাত্র শারীরিক বা বংশগতিয় ব্যর্থতা ছাড়াও অন্য আরও বহুবিধ কারণ কাজ করে থাকতে পারে। মনস্তত্ত্ববিদেরাও বুঝতে শুরু করেছেন যে এক্কেবারে ‘স্বাধীন ইচ্ছা’ বলতে কিছু নাও থাকতে পারে, আমাদের বেশীর ভাগ আচার, আচরণ, ব্যবহার বা কর্মকান্ডের পিছনেই সহজাত কোন বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ বংশগিতয় প্রভাব থাকার সম্ভাবনা বড়ই প্রবল। তবে এখানে একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন। কোন আচরনের সাথে বংশগতিয় কোন বৈশিষ্ট্যের সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া মানেই কিন্তু বোঝায় না যে এই আচরনের পিছনের কারণটিকে চোখ বন্ধ করে ‘বংশগতিয়’ বলে ঘোষণা দিয়ে দেওয়া যাবে। আমরা অনেক সময়েই বুঝি না যে ‘সম্পর্কিত’ মানেই ‘কারণিক’ নয়। আমাদের অনেক আচরণের পিছনেই হয়তো বংশগতিয় এবং পরিবেশের এক জটিল এবং সমন্বিত ফ্যাক্টর কাজ করে। বংশগতিয় ফ্যাক্টরগুলোর সাথে মনোযোগ, তাৎক্ষনিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের করার জন্য স্নায়বিক সমন্বয়, পরিবেশ, সংষ্কৃতি বা এপিজেনিটিক প্রভাবসহ এক জটিল পদ্ধতির জাল কাজ করতে পারে।

আজকাল প্রায়শঃই পত্রিকা খুললেই দেখা যায় বিজ্ঞানীরা নাকি ‘মাদাষক্ততার জিন’ খুঁজে পেয়েছেন বা ‘গে জিন’ আবিষ্কার করে ফেলেছেন বলে ফলাও করে খবর ছাপা হয়েছে। আর ওদিকে তো পপ বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের খবরের যেন কোন অন্ত নেই, আজ হয়তো ছাপা হচ্ছে মেয়েদের মেয়েলি হওয়ার বিবর্তনীয় ব্যাখ্যা, কাল হয়তো পাওয়া যাচ্ছে কেন মেয়েদের মস্তিষ্ক অংক এবং বিজ্ঞান ধারণ করতে সক্ষম নয় তার ‘বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা’। এভোলিউশানারী ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজির অন্যতম গবেষক শন ক্যারল এগুলো নিয়ে সাবধান করতে গিয়ে বলেছিলেন, এখন যেহেতু আমরা মোটে FOXP2 বা MYH16 এর মত জিনগুলোর কথা জানতে শুরু করেছি আমাদের এ প্রসঙ্গে অনেক বেশী সাবধাণতা অবলম্বণ করা প্রয়োজন। এ ধরণের কোন একটা আবিষ্কারকে মানুষের বিবর্তনের বা কোন একটা বৈশিষ্ট্যের ‘সব-রহস্য-সমাধানকারী’ কারণ বলে অভিহিত করার যে স্বাভাবিক প্রবণতা রয়েছে তা বন্ধ করা একান্তভাবে প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। একদিকে ফসিলবিদ এবং নৃতত্ববিদেরা যেমন বুঝতে শুরু করেছেন যে আমাদের বিবর্তন কোন সরল এক রৈখিক পথে ঘটেনি ঠিক তেমনি স্নায়ুবিজ্ঞানীরাও পরিষ্কারভাবে বুঝতে শুরু করেছেন যে আমাদের আচার ব্যবহার বা বুদ্ধিবৃত্তির পিছনের কারণগুলো অনেক গভীরে প্রথিত। আমাদের ‘মানবীয় ক্ষমতাগুলোর’ মূল কার্যকরণ বা উৎপত্তি আমাদের মস্তিষ্কের কোন ‘এনাটিমিকাল ল্যান্ডমার্কের’ সাথে সরাসরি সম্পর্কিত নয়।আমাদের দ্বিপদী হয়ে ওঠা, মস্তিষ্কের আকার বড় হওয়া বা গঠন, ভাষা শেখার মত ক্ষমতাগুলো সম্ভবত ‘কয়েকটা’ জিনের উপর নির্ভরশীল নয় (4)। এমনও হয়তো হতে পারে যে মানবিক বৈশিষ্ট্যগুলো, বিশেষ করে আচরণগত বৈশিষ্ট্যগুলোর পিছনে একটি নয় দুটি নয় শ’য়ে শ’য়ে জিনের হাত রয়েছে। শুধু তো তাইই নয়, তার উপর আবার রয়েছে পরিবেশের প্রভাব। বিভিন্ন পরিবেশগত অবস্থার উপর ভিত্তি করে এই জিনগুলোর এক্সেপ্রেশনও আবার বদলে যেতে পারে।

আমরা এ নিয়ে এখনো অনেক কিছুই জানি না। কিন্তু গত দশকের এই গবেষণাগুলো থেকে ইতোমধ্যেই কতগুলো ব্যাপার ক্রমশঃ পরিষ্কার হয়ে উঠতে শুরু করেছে। ‘জিন না পরিবেশ’ বা ‘প্রকৃতি বনাম সংষ্কৃতি’ ধরণের প্রশ্নগুলো গোড়াতেই গলদ রয়ে গেছে। প্রকৃতি বেশী গুরুত্বপূর্ণ নাকি পরিবেশ বেশী গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো মনে হয় অনেকটা ‘নারী বেশী ভালো নাকি পুরুষ বেশী ভালো’ ধরণের প্রশ্নের মত। পরিবেশ ছাড়া যেমন প্রকৃতি সম্ভব নয়, ঠিক তেমনি প্রকৃতির সাথে পরিবেশের সাথে মিথষ্ক্রিয়া ব্যতীত আমাদের অস্তিত্বই সম্ভব নয়। একটাকে বাদ দিয়ে আরেকটার গুরুত্ব পরিমাপ করাও সম্ভব নয়। এ বিষয়ে বিজ্ঞান যতই আগাচ্ছে ততই আমরা আরো বেশী করে বুঝতে শুরু করেছি যে মানুষের মন এবং মস্তিষ্কের বিকাশ সম্পর্কে জানতে হলে ‘কোনটি ভালো’ নয় বরং জিজ্ঞাস্যটা হতে হবে ‘কীভাবে’, জিজ্ঞেস করতে হবে মস্তিষ্ক এবং চেতনার বিকাশে আমাদের সহজাত বংশগতীয় বৈশিষ্ট্যগুলো তার চারদিকের পরিবেশের কীভাবে মিথষ্ক্রিয়া করে।

ম্যাট রিডলী তার ‘অ্যজাইল জিন’ বইটিতে এ নিয়ে চমৎকার কিছু আলোচনা করেছেন। রিডলীর আমার খুব পছন্দের লেখক হলেও তার সাথে দ্বিমত হয় হরহামেশাই। তা তে যে রিডলীর মত বড় লেখকের কিছু এসে যায় তা নয়, কিন্তু আমার বড়ই উপকার হয়। তার বক্তব্যের সাথে দ্বিমতের কারণগুলো বোঝার চেষ্টা‍ করতে গিয়ে আরো অনেকগুলো বই পড়ে ফেলি, কিন্তু সে কথা আপাতত তোলা থাক। উনি অ্যজাইল জিন বইটিতে একদিকে জিনের সহজাত পূর্ব-নির্মিত গঠন প্রবৃত্তি এবং আরেকদিকে এর স্থিতস্থাপকতা এবং নমনীয়তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। সেই সাথে দেখানোর চেষ্টা করেছেন পরিবেশ, পরিস্থিতি বা সংষ্কৃতির ছোঁয়া কিভাবে আমাদের বংশগতীয় ছাঁচগুলোকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রূপে গড়ে তোলে বা প্রভাবিত করে। বইটি তিনি শেষ করেছেন এই বলে, “জিন হচ্ছে সংবেদনশীলতার প্রতীক, জিন আমাদের নমনীয়তা এবং অভিজ্ঞতার ভৃত্য হওয়ার মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। প্রকৃতি বনাম পরিবেশ বিতর্কের দিন ফুরিয়েছে, পরিবেশের মধ্য দিয়ে প্রকৃতি টিকে থাকুক বহুকাল” (৮)।

সে যাক, এবার মস্তিষ্ক নিয়ে মূল আলোচনায় ঢোকা যাক। লেখাটিকে আপাতত তিনটি প্যরাডক্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই। ভবিষ্যতে বিষয়গুলো নিয়ে আরও বিস্তারিতভাবে লিখতে শুরু করলে এর পরিধি হয়তো আরও বাড়াতে হতে পারে। এই তিনটি প্যারাডক্সের আলোচনা করতে গেলে ঘাড় টানলে মাথা আসার মত অনেক প্রাসংগিক আলোচনাও হয়তো চলে আসবে। মস্তিষ্কের গঠন এবং বিভিন্ন কাজকর্ম নিয়েও আলোচনা করতে হবে। চলুন শুরু করা যাক,

প্যারাডক্স নম্বর একঃ মস্তিষ্ক নিয়ে বিভিন্ন লেখা পড়লে প্রথমেই দেখা যায় যে বেশীর ভাগ লেখকই মানুষের মস্তিষ্ক কত অভিনব এবং কত বিষ্ময়কর তা নিয়ে আলোচনা করেন। কথাগুলোর মধ্যে একেবারেই যে সত্যতা নেই তা নয়। পৃথিবীতে অন্যান্য প্রাণীর বুদ্ধিবৃত্তি এবং মননের সাথে তুলনা করলে মানুষের মস্তিষ্কের কর্মকান্ডকে ‘অভিনব’,’নভেল’ জাতীয় বিশেষণে ভূষিত করাটাই হয়তো স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের এই বিষ্ময়কর বুদ্ধিবৃত্তি এবং মনন-ক্ষমতা যে মস্তিষ্কের ফসল সেটার গঠন সম্পর্কেও কী একই বিশেষণগুলো প্রয়োগ করা সম্ভব? আমাদের দেহের সর্বোচ্চ কুঠরীতে অবস্থান করা তিন পাউন্ডের এই অংগটির গঠন আসলেই কী অভিনব কোন প্রকৌশলগত নৈপূন্য প্রকাশ করে? নাকি আমাদের অন্যান্য অংগের মতই এই মস্তিষ্কটিও কোটি কোটি বছরের বিবর্তনীয় জোড়াতালির সাক্ষ্য বহন করে?

চোখের গঠন নিয়েও আমরা কিন্তু সৃষ্টিবাদীদের কাছ থেকে একই ধরণের বক্তব্য শুনে অভ্যস্ত, চোখের মত একটি সুগঠিত এবং ‘অভিনব’ অংগ নাকি কোনভাবেই বিবর্তনের প্রক্রিয়ায় গড়ে উঠতে পারে না! মুক্তমনাতেই আইডি নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা করা হয়েছে। আমরা দেখেছি মানুষের চোখের গঠন মোটেও নিঁখুত কোন প্রকৌশগত বা কারিগরী বিষ্ময় নয় বা এর মধ্যে উৎকর্ষের পূর্ণমাত্রার কোন নিদর্শনই পাওয়া যায় না। চোখের গঠন বেশ জটিল হলেও সেটিও কিন্তু দেহের অন্যান্য অঙ্গের মতই দীর্ঘকালের বিবর্তনের ‘প্যাচ-ওয়ার্কের’ই ফসল। আমি আমার লেখায় দেখানোর চেষ্টা করবো যে, আমাদের মস্তিষ্কের গঠন সম্পর্কেও একই কথাই প্রযোজ্য। তাহলে এখন স্বভাবতই প্রশ্ন আসবে, আমাদের মস্তিষ্কও যদি বিবর্তনীয় পথে এমন জোড়াতালি দিয়েই তৈরি হয়ে থাকে তাহলে আমরা কীভাবে এমন অভূতপূর্ব বুদ্ধিবৃত্তির অধিকারী হতে পারলাম? যার গঠনে এমন জোড়াতালি তার কম্ম কী করে এত ‘মহান’ হওয়া সম্ভব? হ্যা, এই প্যারাডক্সটা নিয়েই আলোচনা করতে চাই এর পরের পর্বের লেখাটায়।

প্যারাডক্স নম্বর দুইঃ দ্বিতীয় প্যারাডক্সটিও বেশ জটিল। একটি গবেষণায় যদি দেখানো হয় যে, নবজাত মানব শিশু সহজাত বেশ কিছু বুদ্ধিবৃত্তি নিয়েই জন্মায়, মস্তিষ্ক মোটেও ‘ব্ল্যাক স্লেট’ নয় এর পরেই আবার আরও দুটো গবেষণার কথা শোনা যায় যেখানে এর উলটো কথা শোনা যায়। দেখানো হয়, আমাদের আচার আচরন, ব্যবহারের অনেক কিছুই বদলানো সম্ভব বা অনেক সময় বিভিন্ন কারণে মস্তিষ্কের গঠন বদলে দিলেও আমরা দিব্যি অনেক নিত্য নৈমিত্তিক কাজ চালিয়ে যেতে পারি। আজকালকার বহু গবেষণাই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, মস্তিষ্ক দিয়ে আমরা যেমন পরিবেশের সাথে মিথষ্ক্রিয়া করি, মস্তিষ্কই যেমন আমাদের বুদ্ধিবৃত্তি এবং সহজাত চেতনার আধার, ঠিক তেমনিভাবে পরিবেশও আবার মস্তিষ্কের উপর প্রভাব ফেলতে সক্ষম। জন্মের পরে আমাদের মস্তিষ্ক চারপাশের পরিবেশ থেকে অনেক কিছুই শিখতে সক্ষম। কিন্তু তাহলে এখন স্বভাবতই প্রশ্ন করতে হয়, আমাদের মস্তিষ্কের গঠন যদি এতটাই সহজাত বা ‘ইনেট’ হয়, তাহলে আবার এর মধ্যে এতখানি স্থিতিস্থাপকতা বা নমনীয়তা থাকাটা কীভাবে সম্ভব? একই জিনিসের যুগপৎভাবে কঠিন এবং নমনীয় হওয়া সম্ভব কী করে? মস্তিষ্ক এবং চেতনার নিয়ে লিখতে গেলে আজকাল আর এ প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই। এই প্রশ্নটিকে এই শতাব্দীতে জীবিবিজ্ঞানের অন্যতম একটি জটিল প্রশ্ন হিসেবেও চিহ্নিত করা যেতে পারে। আমরা যে এই প্যাডক্সটির সবটুকু বুঝি তা নয় তবে এখন পর্যন্ত যতটুকু বুঝি তা নিয়েই আলোচনা করার ইচ্ছে রইলো দ্বিতীয় পর্বে।

প্যারাডক্স নম্বর তিনঃ এবার আসি শেষ প্যারাডক্সটিতে। আসলে মস্তিষ্ক নিয়ে আলোচনার চ্যালেঞ্জটাই এই জায়গাটিতে, আপনি যা নিয়েই আলোচনা করতে চান না কেন, পদেপদে বেশ কিছু জটিল প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে আগাতে পারবেননা। যাই হোক, আমি এর পরে যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতে চাই তা হল, আমরা এই একুশ শতাব্দীতে পা দিয়ে জেনেছি যে, আমাদের ডিএনএতে মাত্র ২৩-২৫ হাজার জিন রয়েছে। এই ‘জিন শর্টেজ’ বা ‘জিনের স্বল্পতা’ নিয়ে আমি আমার এভো ডেভো লেখাটায় বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম। পরিবেশবাদীরা প্রায়শঃই এই ব্যাপারটা নিয়ে হইচই করেন, বলেন, মাত্র ২৩ হাজার জিন দিয়ে কোনভাবেই আমাদের মস্তিষ্কের সব কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তাদের কথাটা সম্পূর্ণভাবে সঠিক না হলেও একেবারে ফেলে দেওয়ার মতও কিন্তু নয়। আসলেই তো, চিন্তা করে দেখুন, আমাদের মস্তিষ্কের এক শ’ কোটি (এক বিলিয়ন) নিউরন এবং প্রায় পাঁচ শ’ হাজার কোটি (৫০০ ট্রিলিয়ন) সিন্যাপ্সের নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারটি কিন্তু চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। caenorhabditis elegans নামক ছোট্ট এবং প্রায় ‘বোধ-বুদ্ধিহীন’ (অনেকে বলবেন মানুষের সাথে তুলনা করলে এদেরকে তো বোধ বুদ্ধিহীন বলাটাই সমীচীন হবে) কৃমিটির ৩০২ টি নিউরন এবং প্রায় ৭৮০০ সিন্যাপ্সের হিসেব রাখার জন্য যদি প্রায় ১৯ হাজার জিনের প্রয়োজন হয় তাহলে মাত্র ২৫ হাজার জিন দিয়ে কী করে আমাদের মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণের কাজটি করা সক্ষম? এই প্রশ্নটির উত্তরে মধ্যেই বোধ হয় আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে।

এই প্রশ্নটির উত্তর সঠিভাবে দিতে পারলে মস্তিষ্কের স্থিতিস্থাপকতার মাত্রা নিয়ে সমস্যাটারও হয়তো আংশিক সুরাহা হতে পারে। এ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসংগেরও অবতারণা করতে হবে। আমরা প্রায়শঃই বিজ্ঞানের সাহিত্যের বইগুলোতে ডিএনএ কে ব্লুপ্রিন্ট হিসেবে উল্লেখ করতে দেখি। আমাদের জিনোম কী আসলেই একটি ব্লুপ্রিন্ট? এভাবে ডিএনএ কে ব্লুপ্রিন্ট বলাটা শুধু একটি ভুলই নয়, একটি মারাত্মক ভুল। এই ধারণাগত ভুলটি থেকে বেশ কিছু ভুল ধারণার জন্ম নিতে পারে। এই বেসিক ব্যাপারগুলো পরিষ্কারভাবে না বুঝলে মস্তিষ্কের কর্মকান্ডের মত জটিল বিষয়গুলো তো দূরের কথা প্রাণের বিবর্তন নিয়েই সঠিক ধারণাটা অর্জন করা সম্ভব নয়।

ইন্টারনেটঃ প্রযুক্তির এক বিষ্ময় বিশ্ব!


ইন্টারনেটঃ প্রযুক্তির এক বিষ্ময় বিশ্ব!
বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিলো। অস্কারের উপর কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য তার একান্ত দরকার। ঠিকঠাক মত কোথাও খুঁজে পাচ্ছেনা। আবার কিছু বলতে গেলেও তা মানতে নারাজ। মহামুশকিল। আসলে তথ্যগুলো ঠিকমত কোথায় রয়েছে সেটা মনে করতে পারছেনা এ মূহুর্তে। কোন সমস্যা নেই! আপনার ব্যক্তিগত কম্পিউটার দিয়ে ইন্টারনেটের অন্তঃহীন বিশ্বে লগইন করুন অথবা সার্চ দিন, দেখবেন মূহুর্তে লাখ লাখ তথ্য এসে হাজির আপনার মনিটরের পর্দায়। পেয়ে যাবেন যা খুঁজছিলেন। ইন্টারনেট হলো ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ে বা তথ্যপ্রযুক্তির মহাসড়ক। সারাবিশ্বে লাখ লাখ নেটওয়ার্ক একসূত্রে গেঁথে তৈরী হয়েছে এই মহাসড়ক। যার মাধ্যমে কোটি কোটি ব্যবহারকারীরা নিজেদের মাঝে করতে পারে তথ্য ও ভাবের বাধাহীন বিনিময়।

১. আদিকথাঃ
যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৬৯ সালের দিকে একদল উৎসাহী বিজ্ঞানী যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আমূলে বদলে দিতে ভিন্নধর্মী গবেষনা শুরু করেন। উদ্দেশ্য এমন এক ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, যার মাধ্যমে গবেষক ও বিজ্ঞানীরা দ্রুত তাদের চিন্তা ও মতামতের বিনিময় ঘটাতে পারেন। প্রকল্পের নাম ছিলো আরপানেট(ARPANET)। সেসময় সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার থেকেও তথ্য নিতে হলে ম্যাগনেটিক টেপ বা ছিদ্রযুক্ত কার্ড ব্যবহার করতে হতো। পরবর্তী পর্যায়ে নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে। জন্ম নেয় নিউজগ্রুপ USENET-এর, যার পরিচিতি এখন বিশ্বব্যাপী। ১৯৯০ সালে এসে আরপানেট পরিবর্তিত হলো ইন্টারনেট-এ।

২. দায়িত্ব কার?
এই যে সারাবিশ্বজুড়ে এতবড় একটি নেটওয়ার্ক তার কিন্তু কোন কেন্দ্রীয় দফতর নেই। নেই কোন একক কর্তৃত্ব। প্রতিটি নেটওয়ার্ক তাদের নিজস্ব পদ্ধতি, নিয়ম ও ব্যবস্থাপনায় চলে। তবে ইন্টারনেটের মূল কাঠামোটি রক্ষনাবেক্ষণ করে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সাইন্স ফাউন্ডশন (NSF)। তাছাড়াও রয়েছে কিছু ইন্টারনেট সোসাইটি।। যারা নেটওয়ার্ক তৈরী, মান-নিয়ন্ত্রণ ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দিকগুলো দেখে থাকে।

৩. কি কি সুবিধা দেয় ইন্টারনেট?
সরকারী-বেসরকারী সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা যেকোন একক ব্যবহারকারী তাদের সংযোগের ধরনের ভিত্তিতে নীচের সুবিধাগুলো পেতে পারেন-
০১) ই-মেইল (E-mail)
০২) ভিডিও ফাইল দেখা (Youtube)
০৩) ভয়েস মেইল, ভয়েস চ্যাট ও ভিওআইপি
০৪) ভিডিও কনফারেন্স ও ভিডিও টেক্সট
০৫) ফাইল ট্রান্সফার (FTP)
০৬) সংবাদ (Usenet)
০৭) বুলেটিন বোর্ড সার্ভিসেস (BBS/RSS)
০৮) দূরবর্তী লগইন (Telnet)
০৯) ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ই-ক্যাশ ও কেনাকাটা
১০) Wi-Fi ও WIMAX-এর সুবিধাসমূহ
১১) মাল্টিমিডিয়া ইত্যাদি

৪. কিভাবে কাজ করে?
বর্তমানে ইন্টারনেট হলো সবচেয়ে বড় তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যম। এই তথ্য বা ডেটা চলাচল করে নেটওয়ার্ক বা কমিউনিকেশন লাইনের মাধ্যমে একটি নিয়মের অধীনে, যাকে বলা হয় “প্রটোকল”। দু’ধরনের প্রটোকল সাধারনতঃ ব্যবহৃত হয়। ট্রান্সমিশন প্রটোকল (TCP) এবং ইন্টারনেট প্রটোকল (IP)। টিসিপি প্রাথমিক তথ্যকে ভেঙ্গে টিসিপি প্যাকেট তৈরী করে। আর আইপি ঐ টিসিপি প্যাকেটগুলো ভেঙ্গে আরো ক্ষুদ্রতর প্যাকেট তৈরী করে। ক্ষেত্রে টেলিফোন লাইনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে যেতে আরো দু’টো প্রটোকল Serial Line Internet Protocol(SLIP) ও Point to Point Protocol(PPP)-এর প্রয়োজন হয়। এরপর প্যাকেটগুলো নির্দিষ্ট গন্তব্য বা ঠিকানায় দ্রুত পৌঁছাতে ঘুর পথে না গিয়ে সবচেয়ে সোজা পথটি ধরে। আমাদের দেশে এই তথ্য দেশের বাইরে আসা-যাওয়া করে মূলত সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিকল্প পথে V-SAT বা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। সাবমেরিন কেবলের উপর BTRC এর পূর্ণ কর্তৃত্ব রয়েছে। তারা যেকোন সময় যেকোন ওয়েব সাইটে প্রবেশ বন্ধ করার অধিকার সংরক্ষন করে।

৫. ইন্টারনেট ঠিকানাঃ
যে কোন তথ্য গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্যে স্বাভাবিকভাবেই একটি ঠিকানা প্রয়োজন। ইন্টারনেটে ঠিকানার এই পদ্ধতিকে বলা হয় Domain Name System (DNS)। DNS ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত সব Host কম্পিউটারকে বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে একটি Domain নাম দেয়। সর্বোচ্চ Domain সাধারনতঃ হয় দেশের নাম। যেমন যুক্তরাজ্যের জন্যে .uk, যুক্তরাষ্ট্রের .us, চীনের জন্যে .cn, বাংলাদেশের .bd ইত্যাদি। পরের স্তরের Domain হয় প্রকারভেদের উপর। যেমন edu(Education), org(Organization), net(Network), gov(Government), ac(Academic), com(Commercial) ইত্যাদি। তার পূর্বে সাধারনত Domain Provider-এর নাম থাকে।

৬. কিভাবে যুক্ত হওয়া যায়?
ইন্টারনেটে সংযুক্ত হওয়ার জন্যে প্রাথমিকভাবে দরকার একটি কম্পিউটার, একটি সংযোগ লাইন ও একটি মডেম। মডেম (Modulator-Demodulator) হলো এনালগ সিগন্যালকে ডিজিটালে এবং ডিজিটাল সিগন্যালকে এনালগে রূপান্তরিত করার যন্ত্র। মডেম সাধারনতঃ ডায়াল আপ, জিপিআরএস বা এজ প্রকৃতির হয়ে থাকে। যে সকল মোবাইল সেট-এ GPRS বা EDGE সুবিধা আছে, সেগুলো মডেম হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া যেসব LAN বা WAN ব্রডব্যান্ড-এর সঙ্গে যুক্ত, তার অন্তর্ভূক্ত হয়েও ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যায়।

৭. বাংলাদেশে বর্তমান সংযোগের রকমফেরঃ
ইন্টারনেটে যুক্ত হতে মূলতঃ কিছু পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ
ক) বিটিআরসি বা অন্য বেসরকারী ল্যান্ডফোন লাইন বা ডায়াল আপ।

খ) ব্রডব্যান্ড লাইন যা সাধারনতঃ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা (ISP) দিয়ে থাকে। তারা BTRC-
এর কাছ থেকে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে চালিত ব্যান্ডউইথ কিনে তা আবার গ্রাহকদের কাছে
বিক্রি করে। ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞানুযায়ী যে গতি পাওয়া সম্ভব তা কখনোই পাওয়া যায়না ISP
ওয়ালাদের অতিমুনাফাখোরী মনোবৃত্তির কারনে।

গ) ওয়্যারলেস বা তারবিহীন নেটওয়ার্কঃ এটি মূলতঃ মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলো একই পন্থায়
ব্যান্ডউইথ কিনে তার গ্রাহকদের দেয় কাছে গলাকাটা দামের বিনিময়ে।

ঘ) WiFi বা WiMAX হলো তারবিহীন নেটওয়ার্ক। ভারতসহ অনেকদেশে খুব অল্পখরচে WiFi পরিচালিত হলেও এর ডেটা ট্রান্সফার রেট ও টাওয়ারের এলাকা কভারেজ সীমিত হওয়ায় খুব বেশী জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি। WiFi পরিপূর্নভাবে জায়গা করে নেওয়ার আগেই বাংলাদেশে এই বছরের মাঝামাঝি চলে আসবে উন্নততর সেবা নিয়ে WiMAX নেটওয়ার্ক। বলা যায় এটা WiFi-এর উন্নততর সংস্করন যা উচ্চগতিসম্পন্ন। এর এলাকা কভারেজও হবে অনেক বেশি। এরই মধ্যে বিশ্বের প্রায় ১১০ টি দেশে এই নতুন প্রযুক্তি চালু হয়ে গেছে। এপ্রযুক্তি এলে অনেক সুবিধার মাঝে IP মোবাইল ফোন, এফ এম, ATM সংযোগ, রেডিও, দ্রুততার সঙ্গে ভিডিওচিত্র আদান-প্রদান ছাড়াও পাওয়া যাবে ট্রিপল প্লে সার্ভিস। যাতে একসঙ্গে টেলিভিশন (IP TV) দেখার ব্যবস্থা, ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেটে কাজ করা যাবে। বর্তমানে অনেক মোবাইল সেট GPRS সম্বলিত হলেও এখন পর্যন্ত WiMAX সুবিধা নেই। তবে অদূর ভবিষ্যতে তা সেটগুলিতে চলে আসবে বলে আমার বিশ্বাস। বাংলাদেশের মত নদী-নালা আর খাল-বিলের দেশে তারহীন প্রযুক্তি WiMAX-এর মাধ্যমেই সম্ভব উচ্চগতির ইন্টারনেটকে ছড়িয়ে দেওয়া। যেমনটি ঘটেছে মোবাইল ফোন সেবার ক্ষেত্রে দেশজুড়ে। তবে মনে হয় মোবাইল কোম্পানীর 3G সার্ভিসের সঙ্গে WiMAX-এর একটা টক্কা লাগবে ও কষ্টকর বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হতে পারে।

উন্নতবিশ্ব তথা আমাদের দেশের মানুষও ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রবেশ করছে তথ্য সাম্রাজ্যের এক মহাজগতে। অসংখ্য মুক্তমনা মানুষ এই তথ্য জগতকে প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধ করে তুলছেন তাদের মেধা প্রকাশ ও ব্লগ লেখার মাধ্যমে। ইন্টারনেট সত্যিকার অর্থেই বিশ্বকে এনে দিয়েছে ব্যক্তিগত কম্পিউটারের ছোট পর্দায়। তাই একে এড়িয়ে থাকা আর অচলায়তনে বন্দী থাকা হবে একই কথা।

ভালোবাসা কাকে বলে?


ভালোবাসা কাকে বলে এটির সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা যেমন কেউ দিতে পারেন না, তেমন কম দিতেও কেউ ছাড়েন না। ভালোবাসা এমনই একটি স্পর্শকাতর জিনিস যেটি প্রতিটা মানুষকে জিবনে একবার হলেও স্পর্শ করে যায়। দেখিয়ে দিয়ে যায় তার মহিমা।
অপর দিকে এই ভালোবাসার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কেউ লিখেফেলেন বিশাল বিশাল প্রবন্ধ,কেউ ণিখেন গান আবার কেউ এটিকে প্রকাশ করেন কবিতার মাধ্যমে।

দেখুন নিচে কে ভালোবাসাকে কিভাবে প্রকাশ করেছেন?

অনি

ভালোবাসা এক নয়, ভালোবাসা দুই নয়
ভালোবাসা সে, যে সত্যিকারের ভালোবাসে;

ভালোবাসা তিন নয়, ভালোবাসা চার নয়
ভালোবাসা সে, যে তোমাকে বেশি ভালোবাসে;

ভালোবাসা পাঁচ নয়, ভালোবাসা ছয় নয়
ভালোবাসা সাত নয়, ভালোবাসা আট নয়
ভালোবাসা সে, যে প্রকৃত পক্ষে অপেক্ষা করে………।

নীল মুদ্রা

ভালোবাসার অপরাধে কি শাস্তি হতে পারে বলতে পারো?
মৃত্য? নাকি আজীবন নির্বাসন? নাকি মনের ঘরে বন্দী?
বলতো ভালোবাসা মানে কি? ব্যাখ্যা আছে? কাকে বলে ভালোবাসা?

ভালোবাসা হলো স্বার্থপরতা নিজেকে ভালো রাখার জন্য কাউকে পাশে চাওয়া,
সে পাশে থাকলে ভালোলাগে, সে দূরে গেলে কষ্ট লাগে
সে ছুঁয়ে দিলে কেমন যেনো লাগে, সে না ছুঁলে খুব একা লাগে..
এ কার জন্য সবইতো নিজের জন্য,
বড় স্বার্থপর মানব জাতি,
অন্যকে ভালোবাসার মানেই নিজেকে ভালোবাসা
তবে ভালোবাসা কি….?

ড. আবু এন. এম. ওয়াহিদ

ভালোবাসা কাকে বলে, কেউ কী তা জানে?

কেউ বলে জানা শোনা, কেউ বলে টাকা গোণা

কেউ বলে দেওয়া নেওয়া, কেউ বলে শুধু পাওয়া

কেউ বলে দূরে থাকা, কেউ বলে কাছে আসা

কেউ বলে চোখে দেখা, কেউ বলে হাতে ছোঁয়া

কেউ বলে মনে রাখা, কেউ বলে আঁকা বাঁকা

কেউ বলে বুঝে পাওয়া, কেউ বলে চেয়ে নেওয়া

কেউ বলে শোক আনে, কেউ বলে অভিমানে

কেউ বলে সুখ আনে, কেউ বলে নাহি জানে

ভালোবাসা কাকে বলে, কেউ কী তা জানে?

সকাল

তাকে বলেছিলাম, ভালোবাসা কাকে বলে?
আমি জানিনা।
সে বলেছিল, জানার কি খুবই দরকার?
আমি বলেছিলাম, তোমার অবর্তমানে তোমার অভাব অনুভব করি।
সে বলেছিল, আমি জানি আপনার কল্পনাতে তো আমি আছি,
তাহলে অভাব অনুভব কেন?

আমি বলেছিলাম, তোমাকে আমি শুধু কল্পনাতে নয়, বাস্তবেও চাই,
তোমার মাঝে আমার ভবিষ্যতকে চাই।
সে বলেছিল, কখনও সম্ভব নয়,
আমার অন্তরে যদি আপনি ব্যতীত অন্য কেহ বসত করে?

আমি বলেছিলাম, পাখিরা বাসা বাঁধে লতা পাতা দিয়ে,
মানুষ বাসা বাঁধে ভালোবাসা দিয়ে।

অতঃপর, বিনম্র চিত্তে নতজানু হয়ে আরও বলেছিলাম,
তুমি যাকে ভালোবাসবে, আমি তাকে ভালোবাসব।
তোমার যা প্রিয় আমার হবে তা প্রিয়।
ভালোবাসার কোন অর্থ নেই,
কোন পরিমাপ নেই।।

অজানা
প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে “ভালোবাসা” শব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমরা একে লালন করি সযতনে, সংগোপনে, প্রকাশ্যে, হেলা-অবহেলায়, ক্ষোভে, দুঃখে, রাগে, শরীরে, মননে। কেউ ভালোবাসার পেছনে ছুটে জীবনটাকে তেজপাতা বানিয়ে ফেলি আবার কখনও ভালোবাসাই কাউকে হন্যে হয়ে তাড়া করে বেড়ায়। আসলে ভালোবাসা কি?
ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। তবুও ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয়,বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেয়া, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরনের ভালোবাসা থেকে পৃথক করা যায়না। ভালোবাসা বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন: নিস্কাম ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালোবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে, যে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ প্রায় সময় খুবই আনন্দদায়ক হতে পারে…এমনকি কোন কাজ কিংবা খাদ্যের প্রতিও। আর এটাই অতি আনন্দদায়ক অনুভূতিই হলো ভালোবাসা।

ভালোবাসার সংজ্ঞা বিতর্ক,অনুমান এবং অর্ন্তদর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত। অনেকেই ভালোবাসার মত একটি সর্বজনীন ধারণাকে আবেগপ্রবণ ভালোবাসা, কল্পনাপ্রবণ ভালোবাসা কিংবা প্রতিশ্রুতিপূর্ণ ভালোবাসা এসব ভাগে ভাগ করার পক্ষপাতী নন। তবে এসব ভালোবাসাকে শারীরিক আকর্ষণের ওপর ভিত্তি করে শ্রেণীবিন্যাস করা যেতে পারে। সাধারণ মতে, ভালোবাসাকে একটি ব্যক্তিগত অনুভূতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেটা একজন মানুষ অপর আরেকজন মানুষের প্রতি অনুভব করে। কারো প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীলতা কিংবা প্রতিক্ষেত্রে কারো উপস্থিতি অনুভব করা ভালোবাসার সাথেই সম্পর্কযুক্ত। অধিকাংশ প্রচলিত ধারণায় ভালোবাসা, নিঃস্বার্থতা, স্বার্থপরতা, বন্ধুত্ব, মিলন, পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধনের সাথে গভীরভাবে যুক্ত।

ভালোবাসার সাধারণ এবং বিপরীত ধারণার তুলনা করে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভালোবাসাকে জটিলভাবে বিচার করা যায়। ধনাত্নক অনুভূতির কথা বিবেচনা করে ভালোবাসাকে ঘৃণার বিপরীতে স্থান দেয়া যায়। ভালোবাসায় যৌনকামনা কিংবা শারীরিক লিপ্সা একটা গৌণ বিষয়। এখানে মানবিক আবেগটাই বেশী গুরুত্ববহন করে। কল্পনাবিলাসীতার একটা ক্ষেত্র হচ্ছে এই ভালোবাসা। ভালোবাসা সাধারণত শুধুমাত্র বন্ধুত্ব্ব নয়। যদিও কিছু সম্পর্ককে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব বলেও অবিহিত করা যায়।

জামান
প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে “ভালোবাসা” শব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমরা একে লালন করি সযতনে, সংগোপনে, প্রকাশ্যে, হেলা-অবহেলায়, ক্ষোভে, দুঃখে, রাগে, শরীরে, মননে। কেউ ভালোবাসার পেছনে ছুটে জীবনটাকে তেজপাতা বানিয়ে ফেলি আবার কখনও ভালোবাসাই কাউকে হন্যে হয়ে তাড়া করে বেড়ায়। আসলে ভালোবাসা কি? একে সংজ্ঞায়িত করার প্রয়াসে পোস্টটি উপস্থাপিত হলো। আপনাদের কারো কোন মত কিংবা দ্বিমত থাকলে মন্তব্যের চিলেকোঠায় মনের ভাব ব্যক্ত করতে পারেন।

ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। তবুও ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয়,বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেয়া, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরনের ভালোবাসা থেকে পৃথক করা যায়না। ভালোবাসা বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন: নিস্কাম ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালোবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে, যে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ প্রায় সময় খুবই আনন্দদায়ক হতে পারে…এমনকি কোন কাজ কিংবা খাদ্যের প্রতিও। আর এটাই অতি আনন্দদায়ক অনুভূতিই হলো ভালোবাসা।

ভালোবাসার সংজ্ঞা বিতর্ক,অনুমান এবং অর্ন্তদর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত। অনেকেই ভালোবাসার মত একটি সর্বজনীন ধারণাকে আবেগপ্রবণ ভালোবাসা, কল্পনাপ্রবণ ভালোবাসা কিংবা প্রতিশ্রুতিপূর্ণ ভালোবাসা এসব ভাগে ভাগ করার পক্ষপাতী নন। তবে এসব ভালোবাসাকে শারীরিক আকর্ষণের ওপর ভিত্তি করে শ্রেণীবিন্যাস করা যেতে পারে। সাধারণ মতে, ভালোবাসাকে একটি ব্যক্তিগত অনুভূতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেটা একজন মানুষ অপর আরেকজন মানুষের প্রতি অনুভব করে। কারো প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীলতা কিংবা প্রতিক্ষেত্রে কারো উপস্থিতি অনুভব করা ভালোবাসার সাথেই সম্পর্কযুক্ত। অধিকাংশ প্রচলিত ধারণায় ভালোবাসা, নিঃস্বার্থতা, স্বার্থপরতা, বন্ধুত্ব, মিলন, পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধনের সাথে গভীরভাবে যুক্ত।

ভালোবাসার সাধারণ এবং বিপরীত ধারণার তুলনা করে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভালোবাসাকে জটিলভাবে বিচার করা যায়। ধনাত্নক অনুভূতির কথা বিবেচনা করে ভালোবাসাকে ঘৃণার বিপরীতে স্থান দেয়া যায়। ভালোবাসায় যৌনকামনা কিংবা শারীরিক লিপ্সা একটা গৌণ বিষয়। এখানে মানবিক আবেগটাই বেশী গুরুত্ববহন করে। কল্পনাবিলাসীতার একটা ক্ষেত্র হচ্ছে এই ভালোবাসা। ভালোবাসা সাধারণত শুধুমাত্র বন্ধুত্ব্ব নয়। যদিও কিছু সম্পর্ককে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব বলেও অবিহিত করা যায়।

বন্ধুত্ব বা বন্ধু কাকে বলে?


আতাতুর্ক
বন্ধুত্ব হল এমন একটা বন্ধন, যা মানুষকে যেমন কাছে টানে তেমনি দূরেও ঠেলে দেয়। এর টান এমন শক্তিশালী যে বন্ধুর প্রয়োজনে নিজের সবচেয়ে দামি প্রাণটাও দেওয়া যায়। আবার অন্যকে বন্ধুর অমোঘ টানে আটকে রেখে খুব সুন্দর কায়দায় প্রতারনা করে নিজের উদ্দ্যেশ্য হাসিল করা যায় এমনকি তার সস্তা প্রাণটাও নেওয়া যায়।

বন্ধু এর শাব্দিক বিশ্লেষনঃ
ব – বুকের সবচেয়ে কাছে।
ন – নিজের একান্ত আপন।
ধু – ধোয়ার মত রহস্যময়।
তাহলে কি দাড়ালো, বন্ধু এমন আর্কষনীয় এক জিনিস যা খুবই রহস্যময়। আর মানুষের একটা অতি পুরাতন বদাভ্যাস হল রহস্যের হাতছানিতে সাড়া দিয়ে তার দিকে এগিয়ে যাওয়া।

বন্ধু বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। আমার দৃষ্টিকোন থেকে দুই প্রকার। যেমন , ১. আত্মার প্রয়োজনে, ২. পরিবেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটের প্রয়োজনে।

১। আত্মার প্রয়োজনেঃ একজনের সাথে অন্যের আত্মার টানে তৈরি হয় বন্ধুত্ব। এ বন্ধুত্ব সৃষ্টির প্রকৃয়া প্রাকৃতিক। এ ধরনের বন্ধুত্বে প্রতারনা খুব কমই হয়। তবে হয় না এমন নয়। এ ধরনের বন্ধু প্রায়ই ক্ষেত্রে বাল্যবন্ধূ হয়। আমার নিজের বন্ধু, যার সাথে আমার দীর্ঘ ২১ বছরের পরিচয় । সে বন্ধুই তার নিজের স্বার্থে আমার প্রতারনা করেছিল। একাধিক বার তাকে আমি ক্ষমা করেছি কিন্তু অবশেষে তাকে নিজের থেকে দূরে ঠেলে রাখতে বাধ্য হয়েছি। তাকে এ্যাভয়েড করে থাকতে আমার যে কি কষ্ট হয় তা শুধূ আমি নিজেই জানি , অন্যকে বোঝানোর সাধ্য আমার নেই। একটা কথা আছে, যার আছে সে বোঝে না আর যার নেই সে বোঝে তার কত পোড়ে।
২। পরিবেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটের প্রয়োজনেঃ বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষ বিভিন্ন মানুষের সাথে পরিচয় হয়। একসাথে কাজ করে। এই কাজ করার ফাঁকে কারো সাথে হৃদয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বন্ধুতে পরিণত হয়। বিভিন্ন বয়সে এ বন্ধুত্ব হয়। এ বন্ধুত্ব কখনও কাজের প্রয়োজনে, স্বার্থের প্রয়োজনে অথবা একাকিত্বের যন্ত্রনা গোছানোর জন্য হয়ে থাকে। এ বন্ধুত্ব কখনও প্রতারনারও হয়ে থাকে যেমন আমার জীবনে একাধিক বার হয়েছে।

রুহিনা তাসকিন
জীবন যখন ব্যস্ত হয়ে পড়ে, তখনো সময় বের করে বন্ধুর সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠা যায় ষ মডেল: অপু মাহফুজ, সামি বন্ধুত্বের কথা বললেই সেই ভালুকের গল্পটাই বোধ করি মনে পড়ে আগে। সেই যে কোন এক কালে বন্ধুকে ভালুকের মুখে ফেলে গাছে চড়েছিল কোনো এক স্বার্থপর। সেই গল্প এখনো সবার মুখে মুখে। কিন্তু এর বাইরে আছে কত না অসাধারণ বন্ধুত্বের গল্প। বন্ধুর জন্য জীবন বাজি রাখা, বিপদে বন্ধুর পাশে দাঁড়ানো—এমন উদাহরণও মিলবে ভূরি ভূরি। ভালুকের গল্প যা-ই বলুক না কেন, আমরা সবাই আসলে জানি, বন্ধু মানেই আসলে খুব কাছের একজন। আর বন্ধুত্ব মানেই আসলে সংকটের সময় পাশে থাকা, বিপদে সাহস জোগানো—এমন অনেক কিছু। এক বন্ধু যখন হতাশায় নিমজ্জিত কিংবা সংকটে বিপর্যস্ত, তখনই অন্য বন্ধু এসে শোনাবে আশার গান—‘হাল ছেড়োনা বন্ধু…বরং কণ্ঠ ছাড়ো জোরে।’ এই তো বন্ধুত্ব!
আর সে কারণেই বন্ধু-বন্ধুত্ব এসব কিছু নিয়ে এত মাতামাতি আর বিশেষ একটি দিনকে শুধু বন্ধুত্বের জন্য উৎসর্গ করা। বন্ধু কাকে বলে? এই প্রশ্নটা খুব বোকা বোকা শোনায় আসলে। সত্যিকার বন্ধু কাকে বলে, সেটা তো আমরা ভেতরে ভেতরে জানি সবাই বেশ ভালো করেই। মানে বন্ধুত্বটা তো আসলে হূদয় দিয়ে অনুভব করার বিষয়। তবে সত্যি কথা কি, ভালো বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যও কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। কী সে বিষয়?
‘বন্ধুত্ব অত্যন্ত আনন্দময় একটি ব্যাপার। আমি বলব, যেকোনো মানুষের জন্য এটি একটি বিশেষ উপহারের মতো। কিন্তু বন্ধুত্ব যত সহজে পাওয়া যায় ততটা সহজে ধরে রাখা যায় না। বন্ু্লত্ব ধরে রাখার জন্য বন্ধুকে শ্রদ্ধা করাটা খুব জরুরি। এই শ্রদ্ধা হচ্ছে আসলে বন্ধুর মতামত, সংস্কৃতি-দর্শন এগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকলে বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখা মুশকিল। আবার পারস্পরিক ভরসার জায়গাটাও থাকা চাই। আর নিঃস্বার্থভাবে দেওয়ার ইচ্ছেটা থাকতে হবে সব সময়। বন্ধু ভালুকের সামনে পড়লে পালিয়ে গাছে চড়লে চলবে না কিছুতেই।’ বলছিলেন অধ্যাপক ও সাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
সেকালের বন্ধুত্ব আর একালের বন্ধুত্বে বিস্তর ব্যবধান। ই-মেইল, চ্যাট—এসবের হাত ধরে বন্ধুত্ব সেই কবে ডিঙিয়ে গেছে দেশ-কাল সীমানার গণ্ডি। আর বন্ধুত্বের রকম-সকমই বোধ করি বেমালুম পাল্টে দিয়েছে ফেসবুক। গোটা বিশ্বকে এক সুতোয় গেঁথে ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগের এই ওয়েবসাইট। চালু হওয়ার কেবল ছয় বছরের মাথায় ফেসবুকের সদস্যসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটির বেশি। এই ওয়েবসাইটের তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তাই বলে দেয় মানুষ আসলে এই সময়েও বন্ধুত্ব গড়ার জন্য কত না ব্যাকুল।
বন্ধু দিবসে কার্ড বিনিময়, উপহার দেওয়া-নেওয়া সেসব তো চালু হয়েছে ঢের আগেই। বন্ধু দিবস আসার আগেই তো বলে দেওয়া যায়, এবার বন্ধু দিবসেও দারুণ ভিড় থাকবে আর্চিস কিংবা হলমার্ক গ্যালারিতে। দেদার বিক্রি হবে ফুল। সেসবের বাইরেও এখন যোগ হয়েছে ভার্চুয়াল উপহার পাঠানোর কায়দা। বন্ধুর কাছে যাওয়ার সময় নেই। কিংবা বন্ধু থাকে সাত সমুদ্র তের নদী ওপারে। দূরত্ব কোনো সমস্যাই নয়। মাউস কিংবা কিবোর্ডের ইশারায় ভার্চুয়াল ফুল কিংবা শুভেচ্ছা কার্ড ঠিকই খুঁজে পাবে বন্ধুর ইনবক্স। তাতে করে, সত্যিকার স্পর্শের আনন্দটা হয়তো পাওয়া গেল না। কিন্তু এই যে দূরত্বের বাধা ডিঙানোর ব্যাপারটা, সেটাই বা কম কিসের।
কর্মব্যস্ত এই নাগরিক জীবনে বন্ধুত্বের আবেদন কি কমেছে একটুখানি হলেও? সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মনে করেন, অবশ্যই না। ‘স্বার্থপর সময় বলেই বন্ধুত্বটা আসলে এখন আমাদের খুব বেশি দরকার। একটা সময় ছিল যখন মানুষ যৌথ পরিবারে বসবাস করত। আমরা দেখেছি, ছোট ভাইটি তার কোনো সমস্যার বেলায় বড় ভাই বা বোনের কাছে এক ধরনের নির্ভরতা পেত। এখন সেটা কমে যাচ্ছে। সে কারণে বন্ধু এখন আরও খুব বেশি দরকার।’
বছর ঘুরে আরও একটা বন্ধু দিবস (আগস্টের প্রথম রোববার) এসে যাচ্ছে। বন্ধু দিবসে বন্ধুরা সব মিলেমিশে হয়তো চুটিয়ে আড্ডা দেওয়ার পরিকল্পনা আঁটছেন অনেকে। কেউ বা আবার হয়তো ভাবছেন, দলবেঁধে সব হুট করে কোথা থেকে ঘুরে আসার ভাবনা। আর কেউ আবার ফন্দি এঁটেছেন স্রেফ ফেসবুকে ভার্চুয়াল উপহার পাঠিয়েই সেরে ফেলবেন বন্ধু দিবস উদ্যাপন। বন্ধু দিবস যেভাবেই পালন করুন কিংবা নাই করুন, মনে রাখবেন, বন্ধুত্ব মানেই আসলে খুব চমৎকার একটা ব্যাপার। বন্ধুত্ব মানেই স্বার্থহীন, দাবিবিহীন দারুণ সুন্দর একটা সম্পর্ক। নিঃস্বার্থভাবে শুধু বিলিয়ে যাওয়া, বিপদে পাশে থাকা, ভরসা জোগানো। বন্ধুত্বের এই আসল মূলমন্ত্রটা যদি আমাদের জানা থাকে, তবে বন্ধু দিবস খুব ঘটা করে পালন না করলেও আসলে খুব বেশি কিছু আসে যায় না। সবাইকে বন্ধু দিবসের আগাম শুভেচ্ছা।
মাহবুব
বন্ধু কাকে বলে তা কি তুমি জান? কি জানি? কখনও তোমার কাছ থেকে এই কথা জানতে চাই নাই । বন্ধু হতে চেয়েছিলাম তুমি সেই দাকে সাড়া দিয়েছিল। কিন্তু কেন জানি, এখন খুব জানতে ইচ্ছা করছে। তুমি যা মনে করো তা অতি সাধারণ । আমার অন্তত তাই মনে হয়। তা না হলে তোমার আচরণ এমন হবে কেন আমার সাথে? তোমার চেহারা দেখলেই মনে হয় কি এক ভুল আমি করেছি তোমার সাথে বন্ধুত্ত করে । আমি না থাকলেই মনে হয় তুমি খুশি হও বেশি।

সেদিন তোমার কাছের এক বান্ধবীর কাছ থেকে শুনলাম তুমি নাকি আমাকে বন্ধু ভাবো না। আমি কথাটা শুনে বিশ্বাস করতে পারিনি। তাহলে তুমি আমাকে কি ভাবো? এটা যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে আমাদের এতদিন এর বন্ধুত্ত নষ্ট হওয়ার পিছনে তুমি দায়ী । কারণ কয়েকদিন ধরে তোমাকে খুব আনমনা দেখেছিলাম আমি । কি জানি এক অন্য রকম খেলা চলে তোমার মনে।

আমি বুঝতে পারিনি এটা । যখন আমি তোমার সাথে কথা বলতে যাই তখন তুমি পলকহীন চোখ এ শুধু আমাকেই দেখতে থাক । আমি এটা ঠিকই বুঝি কিন্তু তোমাকে বুঝতে দেই না । আমার খুব হাসি পায় তখন । কিন্তু এটা আমার মনের চেহারা না । তোমার ওই চোখ এ চোখ পড়লেই আমি শেষ হয়ে যাই । নিঃশেষ হয়ে যাই ।

প্রতি মুহুর্তেই নিজেকে মনে হয় যেন নতুন করে জন্ম নেয়া কোন এক ছোট শিশু । মনের মধ্যে এক অস্থির খেলা চলে তখন । নিজের বুকে হাত দিয়ে আমি শুধু ভিতরে জোড়ে জোড়ে শব্দ শুনতে পাই । যা আমাকে আন্দলিত করে বারবার । জানি না কেন এমন হচ্ছে আমার সাথে। ভালই তো ছিলাম আমরা। তাহলে আমাদের এই সুন্দর বন্ধুত্তের মাঝে কি এক দেয়াল তৈরি হল যা তোমাকে আমার থেকে আর আমাকে তোমার থেকে ভিন্ন জগৎ এ নিয়ে যাচ্ছে ।

তুমি কি বিশ্বাস করবে ইদানিং আমার সব কিছু কেন যেন ভাল লাগছে । সব কিছু রঙ্গিন লাগছে নিজের অজান্তেই । যেই আমি আগে বেশি ঘুড়াঘুড়ি পছন্দ করতাম না সেই আমি এখন অনেক রাত করে বাড়িতে ফিরি । কেউ কিছু জানতে চাইলে আনমনা হয়ে যাই। তাদের কথার উত্তর দিতে পারি না । পড়ায় মন বসাতে পারি না । যেই আমি প্রতিদিন অনেক বেশি সময় পড়তাম সেই আমি এখন বেশিক্ষন টেবিল এ বসে থাকতে পারি না ।

কেন এমন হচ্ছে? তুমি তো আমার সাথে দেখাই করো না। এমন কি ফোনও করো না । তোমাকে কি করে বুঝাবো আমার মনের কথা? এটা কে কি তুমি বন্ধুত্ত বলবে নাকি তার থেকেও বেশি কিছু? তাহলে এটা কে কি তুমি বন্ধুত্ত বলবে নাকি তার থেকেও বেশি কিছু?

বিশ্বের সবচেয়ে গোপনীয় এবং রহস্যময়


মানুষ বরাবরই কৌতূহলী। পৃথিবী সে চষে বেড়াতে চায়, জানতে চায় সব অজানাকে। কিন্তু চাইলেই কি পৃথিবীর সব গোপনীয়তা ভেদ করা সম্ভব? উত্তরটা অবশ্যই না। পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেগুলোতে চাইলেও কখনোই যাওয়া যায় না, জানা যায় না কী হচ্ছে সেখানে, আর কেনইবা এতসব গোপনীয়তা? আজকে এমনি কিছু রহস্যময় জায়গার কথা বলব যেগুলো সাধারণ মানুষের কাছে সবসময় অধরাই থেকে গেছে। সাধারণ মানুষ পরতের পর পরত রহস্যের গল্প বুনে গেছে এগুলো নিয়ে, কিন্তু কূলকিনারা করা হয়নি কোনো রহস্যের।


এরিয়া ৫১


যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদায় অবস্থিত এই জায়গাটি নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষ এখনও একটা ঘোরের মধ্যে আছে। এটি একটি মিলিটারি বেইজ এবং পৃথিবীর সবচেয়ে সিকিউরড এলাকাগুলোর একটি। এর এরিয়ার বাইরেও একটা বিশাল এলাকাজুড়ে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কী করা হয় ওখানে? পৃথিবীর একটা বিশাল অংশ মানুষের ধারণা, ওখানে এলিয়েন নিয়ে গবেষণা করা হয়। অনেক মানুষ এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা গেছে বলেও বিশ্বাস করে।




২. আইস গ্রান্ড শ্রিন : জাপান


জাপানের সবচেয়ে গোপনীয়, পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান। খ্রিস্টপূর্ব ৪ সালে এটি নির্মাণ করা হয় বলে ধারণা করা হয়। জাপানের রাজকীয় পরিবার আর প্রিস্ট ছাড়া এতটা কাল এখানে আজ পর্যন্ত কেউ প্রবেশ করতে পারেনি। এই শ্রিনটি প্রতি ২০ বছর পর ভেঙে আবার নতুন করে নির্মাণ করা হয়। কেন এত গোপনীয়তা? ইতিহাসবিদদের মতে, এককালের জাপানিজ সাম্রাজ্যের অনেক পুরনো মূল্যবান নথিপত্র ওখানে লুকায়িত আছে, যেগুলো বিশ্বের সামনে আগে কখনোই আসেনি।




৩. ভ্যাটিকান সিটি


যুগ যুগ ধরেই ভ্যাটিকান সিটি মানুষের রহস্যের খোরাক। সেই যিশুর আমলের আগে থেকেই পৃথিবীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের সাক্ষী এই ভ্যাটিকান। এই জায়গাটিকে storehouse of secret o বলা হয়। খুব সংখ্যক স্কলারই এই জায়গায় ঢুকতে পারেন, তাও পোপের বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে। এখানে প্রায় ৮৪০০০ বই আছে আর এই জায়গাটি প্রায় ৮৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। ধারণা করা হয় খ্রিস্টান, মেসনারি, প্যাগানসহ আরও অনেক ধর্ম আর মতবাদের অনেক গোপন ডকুমেন্ট এখানে সংরক্ষিত আছে%E

আল্লাহর পবিত্র ৯৯ নাম সমূহ ও অর্থ


১.আল্লাহ্‌ -►(আল্লাহ ন্যায়-নীতি, পরোপকার ও আত্মীয়-স্বজনদের দান করার হুকুম দেন এবং অশ্লীল-নির্লজ্জতা ও দুষ্কৃতি এবং অত্যাচার-বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন, যাতে তোমরা শিক্ষালাভ করতে পারো ► নাহল:৯০)

২. আর রহমান -► পরম দয়াময় -► (রাণী বললো, “হে দরবারীরা! আমার প্রতি একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ পত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে.. তা সুলাইমানের পক্ষ থেকে এবং আল্লাহ্ রহমানুর রহীমের নামে শুরু করা হয়েছে” ► নামল:৩০)

৩. আর রহিম -► পরম দয়ালু -► (আর সেদিনটি হবে এমন দিন যেদিন আল্লাহ প্রদত্ত বিজয়ে মুসলমানরা আনন্দে উৎফুল্ল হবে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সাহায্য করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী ও মেহেরবান ► রুম:০৫)

৪. আল মালিক -► সর্বাধিকারী, বাদশাহ -► (আসমানে যা আছে এবং যমীনে যা আছে তার সবই আল্লাহর তাসবীহ করছে। তিনি বাদশাহ, অতি পবিত্র এবং মহাপরাক্রমশালী ও জ্ঞানময় ► জুময়া:০১)

৫. আল কুদ্দুস -► নিষ্কলুষ, অতি পবিত্র -► (আসমানে যা আছে এবং যমীনে যা আছে তার সবই আল্লাহর তাসবীহ করছে। তিনি বাদশাহ, অতি পবিত্র এবং মহাপরাক্রমশালী ও জ্ঞানময় ► জুময়া:০১)

৬. আস সালাম -► শান্তি বিধায়ক -► (আল্লাহ-ই সেই মহান সত্তা যিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি বাদশাহ, অতীব পবিত্র, পূর্ণাঙ্গ শান্তি, নিরাপত্তাদানকারী, হিফাযতকারী, সবার ওপর বিজয়ী, শক্তি বলে নিজের নির্দেশ কার্যকরী করতে সক্ষম । এবং সবার চেয়ে বড় হয়েই বিরাজমান থাকতে সক্ষম। আল্লাহ সেই সব শিরক থেকে পবিত্র যা লোকেরা করে থাকে ► হাশর:২৩)

৭. আল মুমিন -► নিরাপত্তা বিধায়ক -► (আল্লাহ-ই সেই মহান সত্তা যিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি বাদশাহ, অতীব পবিত্র, পূর্ণাঙ্গ শান্তি, নিরাপত্তাদানকারী, হিফাযতকারী, সবার ওপর বিজয়ী, শক্তি বলে নিজের নির্দেশ কার্যকরী করতে সক্ষম । এবং সবার চেয়ে বড় হয়েই বিরাজমান থাকতে সক্ষম। আল্লাহ সেই সব শিরক থেকে পবিত্র যা লোকেরা করে থাকে ► হাশর:২৩)

৮. আল মুহায়মিন -► রক্ষাকারী, হিফাযতকারী -► (আল্লাহ-ই সেই মহান সত্তা যিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি বাদশাহ, অতীব পবিত্র, পূর্ণাঙ্গ শান্তি, নিরাপত্তাদানকারী, হিফাযতকারী, সবার ওপর বিজয়ী, শক্তি বলে নিজের নির্দেশ কার্যকরী করতে সক্ষম । এবং সবার চেয়ে বড় হয়েই বিরাজমান থাকতে সক্ষম। আল্লাহ সেই সব শিরক থেকে পবিত্র যা লোকেরা করে থাকে ► হাশর:২৩)

৯. আল আযিয -► প্রবল পরাক্রমশালী -► (তিনি মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় যেভাবে ইচ্ছা তোমাদের আকৃতি গঠন করেন । এই প্রবল পরাক্রান্ত মহাজ্ঞানের অধিকারী সত্তা ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই ► ইমরান:০৬)

১০. আল জাব্বার -► পরাক্রমশীল -► (আল্লাহ-ই সেই মহান সত্তা যিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি বাদশাহ, অতীব পবিত্র, পূর্ণাঙ্গ শান্তি, নিরাপত্তাদানকারী, হিফাযতকারী, সবার ওপর বিজয়ী, শক্তি বলে নিজের নির্দেশ কার্যকরী করতে সক্ষম । এবং সবার চেয়ে বড় হয়েই বিরাজমান থাকতে সক্ষম। আল্লাহ সেই সব শিরক থেকে পবিত্র যা লোকেরা করে থাকে ► হাশর:২৩)

১১. আল মুতাকাব্বির -► অহংকারের ন্যায্য অধিকারী -► (আল্লাহ-ই সেই মহান সত্তা যিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি বাদশাহ, অতীব পবিত্র, পূর্ণাঙ্গ শান্তি, নিরাপত্তাদানকারী, হিফাযতকারী, সবার ওপর বিজয়ী, শক্তি বলে নিজের নির্দেশ কার্যকরী করতে সক্ষম । এবং সবার চেয়ে বড় হয়েই বিরাজমান থাকতে সক্ষম। আল্লাহ সেই সব শিরক থেকে পবিত্র যা লোকেরা করে থাকে ► হাশর:২৩)

১২. আল খালিক -► সৃষ্টিকর্তা -► (সে আল্লাহই -যিনি তোমাদের জন্য এসব করেছেন- তোমাদের রব, সবকিছুর স্রষ্টা, তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। তোমাদেরকে কোন্‌ দিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে ? ► মুমিনুন:৬২)

১৩. আল বারী -► উন্মেষকারী -► (সেই পরম সত্তা তো আল্লাহ-ই যিনি সৃষ্টির পরিকল্পনাকারী, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের র্নিদেশ দানকারী এবং সেই অনুপাতে রূপদানকারী। উত্তম নামসমূহ তাঁর-ই। আসমান ও যমীনের সবকিছু তাঁর তাসবীহ বা পবিত্রতা বর্ণনা করে চলেছে। তিনি পরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী ► হাশর:২৪)

১৪. আল মুসাওবির -► রূপদানকারী -► (সেই পরম সত্তা তো আল্লাহ-ই যিনি সৃষ্টির পরিকল্পনাকারী, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের র্নিদেশ দানকারী এবং সেই অনুপাতে রূপদানকারী। উত্তম নামসমূহ তাঁর-ই। আসমান ও যমীনের সবকিছু তাঁর তাসবীহ বা পবিত্রতা বর্ণনা করে চলেছে। তিনি পরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী ► হাশর:২৪)

১৫. আল গাফফার -► মহাক্ষমাশীল -► (আমি বলেছি তোমরা নিজেদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চাও । নিসন্দেহে তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল ► নুহ:১০)

১৬. আল কাহহার -► মহাপরাক্রান্ত -► (আল্লাহ যদি কাউকে পুত্র হিসেবে গ্রহণ করতে চাইতেন তাহলে তাঁর সৃষ্টিকুলের মধ্যে যাকে ইচ্ছা বাছাই করে নিতেন। তিনি এ থেকে পবিত্র (যে, কেউ তাঁর পুত্র হবে)। তিনি আল্লাহ। তিনি একক ও সবার ওপর বিজয়ী ► যুমার:০৪)

১৭. আল ওয়াহহাব -► মহাবদান্য -► (এবং বললো, হে আমার রব! আমাকে মাফ করে দাও এবং আমাকে এমন রাজত্ব দান করো যা আমার পরে আর কারো জন্য শোভন হবে না; নিসন্দেহে তুমিই আসল দাতা ► সা’দ:৩৫)

১৮. আর রাজ্জাক -► জীবিকাদাতা -► (আমি তাদের কাছে কোন রিযিক চাই না কিংবা তারা আমাকে খাওয়াবে তাও চাই না। আল্লাহ নিজেই রিযিকদাতা এবং অত্যন্ত শক্তিধর ও পরাক্রমশালী ► যারিয়াত:৫৮)

১৯. আল ফাত্তাহ -► মহাবিচারক -► (বলুন, আমাদের পালনকর্তা আমাদেরকে সমবেত করবেন, অতঃপর তিনি আমাদের মধ্যে সঠিকভাবে ফয়সালা করবেন। তিনি ফয়সালাকারী, সর্বজ্ঞ ► সা’বা:২৬)

২০. আল আলীম -► মহাজ্ঞানী, সর্বজ্ঞ -► (আর যদি কোথাও তোমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বিগড়ে যাবার আশংকা দেখা দেয় তাহলে পুরুষের আত্মীয়দের মধ্য থেকে একজন সালিশ এবং স্ত্রীর আত্মীয়দের মধ্য থেকে একজন সালিশ নির্ধারণ করে দাও। তারা দুজন সংশোধন করে নিতে চাইলে আল্লাহ তাদের মধ্যে মীমাংসা ও মিলমিশের পরিবেশ সৃষ্টি করে দেবেন । আল্লাহ সবকিছু জানেন , তিনি সর্বজ্ঞ ► নিসা:৩৫)

২১. আল কাবিদ -► সংকোচনকারী -► (তোমাদের মধ্যে কে আল্লাহকে ‘করযে হাসানা’ দিতে প্রস্তুত, যাতে আল্লাহ তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে তাকে ফেরত দেবেন ? কমাবার ক্ষমতা আল্লাহর আছে, বাড়াবারও এবং তাঁরই দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হবে ► বাকারা:২৪৫)

২২. আল বাসিত -► সম্প্রসারণকারী -► (তোমাদের মধ্যে কে আল্লাহকে ‘করযে হাসানা’ দিতে প্রস্তুত, যাতে আল্লাহ তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে তাকে ফেরত দেবেন ? কমাবার ক্ষমতা আল্লাহর আছে, বাড়াবারও এবং তাঁরই দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হবে ► বাকারা:২৪৫)

২৩. আল খাফিদ -► অবনমনকারী -► (……………….)

২৪. আর রাফি -► উন্নয়নকারী -► (……………….)

২৫. আল মুইয্‌য -► সম্মানদাতা -► (বলোঃ হে আল্লাহ ! বিশ্ব –জাহানের মালিক! তুমি যাকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করো এবং যার থেকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নাও। যাকে চাও মর্যাদা ও ইজ্জত দান করো এবং যাকে চাও লাঞ্জিত ও হেয় করো। কল্যাণ তোমরা হাতেই নিহিত । নিসন্দেহে তুমি সবকিছুর ওপর শক্তিশালী ► ইমরান:২৬)

২৬. আল মুযিল্ল -► হেয়কারী -► (বলোঃ হে আল্লাহ ! বিশ্ব –জাহানের মালিক! তুমি যাকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করো এবং যার থেকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নাও। যাকে চাও মর্যাদা ও ইজ্জত দান করো এবং যাকে চাও লাঞ্জিত ও হেয় করো। কল্যাণ তোমরা হাতেই নিহিত । নিসন্দেহে তুমি সবকিছুর ওপর শক্তিশালী ► ইমরান:২৬)

২৭. আস সামী -► সর্বশ্রোতা -► (কাজেই সত্য বলতে কি, তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর তোমরা নিক্ষেপ করনি বরং আল্লাহ নিক্ষেপ করেছেন। (আর এ কাজে মুমিনদের হাত ব্যবহার করা হয়েছিল) এ জন্য যে আল্লাহ মুমিনদেরকে একটি চমৎকার পরীক্ষার মধ্য দিয়ে সফলতার সাথে পার করে দেবেন। অবশ্যি আল্লাহ সবকিছু শুনেন ও জানেন ► আনফাল:১৭)

২৮. আল বাসির -► সর্বদ্রষ্টা -► (আল্লাহ যদি তাঁর সব বান্দাদেরকে অঢেল রিযিক দান করতেন তাহলে তারা পৃথিবীতে বিদ্রোহের তুফান সৃষ্টি করতো। কিন্তু তিনি একটি হিসাব অনুসারে যতটা ইচ্ছ নাযিল করেন। নিশ্চয়ই তিনি তাঁর বান্দাদের সম্পর্কে অবহিত এবং তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখেন ► শুরা:২৭)

২৯. আল হাকাম -► মিমাংসাকারী, বিচারক -► (আল্লাহ কিয়ামতের দিন তোমাদের মধ্যে সেসব বিষয়ে ফায়সালা করে দেবেন ► হাজ্জ:৬৯)

৩০. আল আদল -► ন্যায়নিষ্ঠ -► (……………….)

৩১. আল লাতীফ -► সূক্ষ্ণ দক্ষতাসম্পন্ন -► (আর লুকমান ২৭ বলেছিল ) “ হে পুত্র! কোন জিনিস যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয় এবং তা লুকিয়ে থাকে পাথরের মধ্যে , আকাশে বা পৃথিবীতে কোথাও , তাহলে আল্লাহ তা বের করে নিয়ে আসবেন। ২৮ তিনি সূক্ষ্মদর্শী এবং সবকিছু জানেন ► লুকমান:১৬)

৩২. আল খাবীর -► সর্বজ্ঞ -► (যদি আল্লাহ তোমার কোন ধরনের ক্ষতি করেন তাহলে তিনি ছাড়া আর কেউ নেই যে তোমাকে ঐ ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে। আর যদি তিনি তোমার কোন কল্যাণ করেন, তাহলে তিনি সবকিছুর ওপর শক্তিশালী। তিনি নিজের বান্দাদের ওপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন এবং তিনি জ্ঞানী ও সবকিছু জানেন ► আন’আম:১৮)

৩৩. আল হালীম -►সহিষ্ণু -► (তোমরা অনিচ্ছায় যেসব অর্থহীন শপথ করে ফেলো সেগুলোর জন্য আল্লাহ তোমাদের পাকড়াও করবেন না, কিন্তু আন্তরিকতার সাথে তোমরা যেসব শপথ গ্রহণ করো সেগুলোর জন্য অবশ্যি পাকড়াও করবেন। আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল ও সহিষ্ণু ► বাকারা:২২৫)

৩৪. আল আজীম -► মহিমাময় -►(আসমান ও যমীনে যা আছে সবই তাঁর । তিনি সর্বোন্নত ও মহান ► শুরা:০৪)

৩৫. আল গাফুর -► ক্ষমাশীল -► (যারা তোমাদের শত্রু আল্লাহ তাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সম্ভবতঃ বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে দেবেন। আল্লাহ সবই করতে পারেন এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়। ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন। আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম ► মুমতাহিনা:০৭)

৩৬. আশ শাকুর -► গুণগ্রাহী -► (যদি তোমরা আল্লাহকে করযে হাসানা দাও তাহলে তিনি তোমাদেরকে তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবেন এবং তোমাদের ভূল-ত্রুটি ক্ষমা করবেন। আল্লাহ সঠিক মূল্যায়ণকারী ও অতিব সহনশীল ► তাগাবুন:১৭)

৩৭. আল আলী -► অত্যুচ্চ -► (এ সবকিছু এ কারণে যে, আল্লাহই হচ্ছেন সত্য এবং তাকে বাদ দিয়ে অন্য যেসব জিনিসকে এরা ডাকে তা সবই মিথ্যা, আর ( এ কারণে যে, ) আল্লাহই সমুচ্চ ও শ্রেষ্ঠ ► লুকমান:৩০)

৩৮. আল কাবীর -► বিরাট/ মহৎ -► (তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যমান প্রত্যেক জিনিসের জ্ঞান রাখেন। তিনি মহান ও সর্বাবস্থায় সবার ওপর অবস্থান করেন ► রা’দ:০৯)

৩৯. আল হাফীজ -► মহা রক্ষক -► (যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিতে চাও তাহলে ফিরিয়ে নাও, কিন্তু যে পয়গাম দিয়ে আমাকে তোমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল তা আমি তোমাদের কাছে পৌঁছিয়ে দিয়েছি। এখন আমার রব তোমাদের জায়গায় অন্য জাতিকে বসাবেন এবং তোমরা তাঁর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। অবশ্যি আমার রব প্রতিটি জিনিসের সংরক্ষক ► হুদ:৫৭)

৪০. আল মুকিত -►আহার্যদাতা -► (……………….)

৪১. আল হাসীব -► মহা পরিক্ষক -►((এ হচ্ছে আল্লাহর নিয়ম তাদের জন্য) যারা আল্লাহর বাণী পৌঁছিয়ে থাকে, তাঁকেই ভয় করে এবং এক আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে ভয় করে না আর হিসেব গ্রহণের জন্য কেবলমাত্র আল্লাহই যথেষ্ট ► আহযাব:৩৯)

৪২. আল জালিল -► প্রতাপশালী -► ( রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও প্রতাপশালী আল্লাহ বলেন, “হে আদম সন্তান! নিশ্চয়ই বার্ধক্য আমার নূরসমূহের একটি নূর। আমার নূরকে আমি আমার আগুন দিয়ে শাস্তি দিতে লজ্জা বোধ করি ► হাদীসে কুদসী)

৪৩. আল কারীম -► মহামান্য -► (হে মানুষ ! কোন জিনিষ তোমাকে তোমার মহান রবের ব্যাপারে ধোঁকায় ফেলে রেখেছে ► ইনফিতার:০৬)

৪৪. আর রাকীব -► নিরীক্ষণকারী -► (হে মানব জতি ! তোমাদের রবকে ভয় করো। তিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন একটি প্রাণ থেকে । আর সেই একই প্রাণ থেকে সৃষ্টি করেছেন তার জোড়া । তারপর তাদের দুজনার থেকে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী । ১ সেই আল্লাহকে ভয় করো যার দোহাই দিয়ে তোমরা পরস্পরের কাছ থেকে নিজেদের হক আদায় করে থাকো এবং আত্মীয়তা ও নিকট সম্পর্ক বিনষ্ট করা থেকে বিরত থাকো। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, আল্লাহ তোমাদের ওপর কড়া নজর রেখেছেন ► নিসা:০১)

৪৫. আল মুজিব -► প্রার্থনা গ্রহণকারী -► (আর সামুদের কাছে আমি তাদের ভাই সালেহকে পাঠালাম সে বললো, “হে আমার কওমের লোকেরা! আল্লাহর বন্দেগী করো। তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোন ইলাহ নেই। তিনিই তোমারে যমীন থেকে পয়দা করেছেন এবং এখানেই তোমাদের বসবাস করিয়েছেন। কাজেই তোমরা তাঁর কাছে ক্ষমা চাও এবং তাঁর দিকে ফিরে এসো। নিশ্চয়ই আমার রব নিকটে আছেন তিনি ডাকের জবাব দেন ► হুদ:৬১)

৪৬. আল ওয়াসি -► সর্বব্যাপী -► (হে নবী ! তাদের বলে দাও, ‘‘গ্রহন ও মর্যাদা আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত, যাকে ইচ্ছা তিনি তা দান করেন। তিনি ব্যাপক দৃষ্টির অধিকারী ► ইমরান:৭৩)

৪৭. আল হাকীম -► বিচক্ষণ -► (যমীন ও আসমানসমূহের প্রতিটি জিনিসই আল্লাহর তাসবীহ করেছে। তিনি মহা পরাক্রমশালী ও অতিশয় বিজ্ঞ ► হাদীদ:০১)

৪৮. আল ওয়াদুদ -► প্রেমময় -► (আসলে তোমার রবের পাকড়াও বড় শক্ত। তিনিই প্রথমবার সৃষ্টি করেন আবার তিনিই দ্বিতীয় বার সৃষ্টি করবেন। তিনি ক্ষমাশীল , প্রেমময় .. ► বুরুজ:১৪)

৪৯. আল মাজীদ -► গৌরবময় -► (ফেরেশতারা বললোঃ “আল্লাহর হুকুমের ব্যাপারে অবাক হচ্ছো? ৮২ হে ইবরাহীমের গৃহবাসীরা! তোমাদের প্রতি তো রয়েছে আল্লাহর রহমত ও বরকত, আর অবশ্যি আল্লাহ অত্যন্ত প্রশংসাই এবং বড়ই শান শওকতের অধিকারী ► হুদ:৭৩)

৫০. আল বাঈছ -► পুনরুথানকারী -► (আর এ (একথার প্রমাণ) যে, কিয়ামতের সময় অবশ্যই আসবে, এতে কোনো প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে উঠাবেন যারা কবরে চলে গেছে ► হাজ্জ:০৭)

৫১. আশ শাহীদ -► প্রত্যক্ষকারী -► (আল্লাহই তো সে মহান সত্তা যিনি তাঁর রসূলকে হিদায়াত ও সত্য দীন দিয়ে পাঠিয়েছেন যেন তাকে সমস্ত দীনের ওপর বিজয়ী করে দেন। আর এ বাস্তবতা সম্পর্কে আল্লাহর সাক্ষই যথেষ্ট ► ফাতহ:২৮)

৫২. আল হাক্‌ক -► সত্য -► (এসব কিছু এজন্য যে, আল্লাহ সত্য, তিনি মৃতদেরকে জীবিত করেন এবং তিনি সব জিনিসের ওপর শক্তিশালী ► হাজ্জ:০৬)

৫৩. আল ওয়াকীল -► তত্ত্বাবধায়ক -► (মূসা বললেন, আমার ও আপনার মধ্যে এই চুক্তি স্থির হল। দু’টি মেয়াদের মধ্য থেকে যে কোন একটি পূর্ণ করলে আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকবে না। আমরা যা বলছি, তাতে আল্লাহর উপর ভরসা ►কাসাস:২৮)

৫৪. আল কাও’য়্যি -► শক্তিশালী -► (আল্লাহ লিখে দিয়েছেন যে, তিনি এবং তাঁর রসূল অবশ্যই বিজয়ী হবেন। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ মহা শক্তিমান ও পরাক্রমশালী ► মুজাদালাহ:২১)

৫৫. আল মাতীন -► দৃঢ়তা সম্পন্ন -► (আমি তাদের কাছে কোন রিযিক চাই না কিংবা তারা আমাকে খাওয়াবে তাও চাই না। আল্লাহ নিজেই রিযিকদাতা এবং অত্যন্ত শক্তিধর ও পরাক্রমশালী ► যারিয়াত:৫৮)

৫৬. আল ওয়ালী -► অভিভাবক -► (আল্লাহর মোকাবিলায় তারা তোমরা কোন কাজেই আসতে পারে না। ২৪ জালেমরা একে অপরের বন্ধু এবং মুত্তাকীনদের বন্ধু আল্লাহ ► জাসিয়া:১৯)

৫৭. আল হামীদ -► প্রশংসিত -► (আর মূসা বললো, “যদি তোমরা কুফরী করো এবং পৃথিবীর সমস্ত অধিবাসীও কাফের হয়ে যায় তাহলে আল্লাহর কিছুই আসে যায় না এবং তিনি আপন সত্তায় আপনি প্রশংসিত।” ► ইবরাহীম:০৮)

৫৮. আল মুহসী -► হিসাব গ্রহণকারী -► (রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- আমার উম্মতের হিসাব আমার উপর ন্যাস্ত করার জন্য আমি মহান আল্লাহর সমীপে আরয করলাম, যাতে তারা অপরাপর উম্মতের সামনে লাঞ্ছিত না হয়, তখন মহান ও পরাক্রমশালী রব আমার প্রতি প্রত্যাদেশ করলেন, “হে মুহাম্মদ! আমি তাদের হিসাব গ্রহণ করব। অনন্তর তাদের যদি কোন ক্রটি হয়, আমি তোমার কাছেও তা গোপন রাখাব, যাতে তারা তোমার কাছেও অপদস্থ না হয় ► হাদীসে-কুদসী)

৫৯. আল মুবদী -► আদি স্রষ্টা -► (তাদেরকে জিজ্ঞেস করো, তোমাদের তৈরী করা, শরীকদের মধ্যে কেউ আছে কি যে সৃষ্টির সুচন করে আবর তার পুনরাবৃত্তিও করে? -বলো, একমাত্র আল্লাহই সৃষ্টির সূচনা করে এবং তার পুনরাবৃত্তির ঘটনা, কাজেই তোমরা কোন উল্টো পথে চলে যাচ্ছো ? ► ইউনুস:৩৪)

৬০. আল মুঈদ -► পুনঃসৃষ্টিকারী -► (এরা কি কখনো লক্ষ করেনি আল্লাহ কিভাবে সৃষ্টির সূচনা করেন তারপর তার পুনরাবৃত্তি করেন? নিশ্চয়ই এ (পুনরাবৃত্তি ) আল্লাহর জন্য সহজতর ► আনকাবুত:১৯)

৬১. আল মুহয়ী -► জীবনদাতা -► (বৃষ্টিবাহী বায়ু আমিই পাঠাই। তারপর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি এবং এ পানি দিয়ে তোমাদের পিপাসা মিটাই। এ সম্পদের ভাণ্ডার তোমাদের হাতে নেই। জীবন ও মৃত্যু আমিই দান করি এবং আমিই হবো সবার উত্তরাধিকারী ► হিজর:২৩)

৬২. আল মুমীত -► মরণদাতা -► (হে ঈমানদারগণ ! কাফেরদের মতো কথা বলো না। তাদের আত্মীয়স্বজনরা কখনো সফরে গেলে অথবা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলে ( এবং সেখানে কোন দুর্ঘটনায় পতিত হলে) তারা বলে, যদি তারা আমাদের কাছে থাকতো তাহলে মারা যেতো না এবং নিহত হতো না । এ ধরনের কথাকে আল্লাহ তাদের মানসিক খেদ ও আক্ষেপের কারণে পরিণত করেন । নয়তো জীবন –মৃত্যু তো একমাত্র আল্লাহই দান করে থাকেন এবং তোমাদের সমস্ত কার্যকলাপের ওপর তিনি দৃষ্টি রাখেন । ► ইমরান:১৫৬)

৬৩. আল হায়্যু -► চিরঞ্জীব -► (আল্লাহ এক চিরঞ্জীব ও শাশ্বত সত্তা, যিনি বিশ্ব –জাহানের সমগ্র ব্যবস্থাপনাকে ধারণ করে আছেন, আসলে তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই ► ইমরান:০২)

৬৪. আল কায়্যুম -► স্বয়ং স্থিতিশীল -► (লোকদের মাথা চিরঞ্জীব ও চির প্রতিষ্ঠিত সত্তার সামনে ঝুঁকে পড়বে, সে সময় যে জুলুমের গোনাহের ভার বহন করবে সে ব্যর্থ হবে ► ত্বাহা:১১১)

৬৫. আস সাবুর -► ধৈর্য্যশীল -► (The Patient One► হাদীসে কুদসী)

৬৬. আল ওয়াজিদ -► অবধারক -► (The Self-Sufficient, The All-Perceiving)

৬৭. আল মাজিদ -► মহান -► (The Glorified)

৬৮. আল ওয়াহিদ -► একক -► (সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মানদের কসম, তারপর যারা ধমক ও অভিশাপ দেয় তাদের কসম, তারপর তাদের কসম যারা উপদেশবাণী শুনায়, তোমাদের প্রকৃত মাবুদ মাত্র একজনই ► সফফাত:০৪)

৬৯. আস সামাদ -► অভাবমুক্ত -► (আল্লাহ কারোর ওপর নির্ভরশীল নন এবং সবাই তাঁর ওপর নির্ভরশীল ► ইখলাস:০২)

৭০. আল ক্বাদীর -► শক্তিশালী -► (অতপর তা মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়। তারপর আল্লাহ তার সুন্দর দেহ বানালেন এবং তার অংগ-প্রতংগগুলো সুসামঞ্জস্য করলেন। তারপর তা থেকে নারী ও পুরুষ দু”রকম মানুষ বানালেন। সেই স্রষ্টা কি মৃতদের পুনরায় জীবিত করতে সক্ষম নন? ► ক্বিয়ামাহ:৪০)

৭১. আল মুক্তাদির -► প্রবল/ পরাক্রম -► (ফেরাউনের অনুসারীদের কাছেও সাবধান বাণীসমূহ এসেছিল। কিন্তু তারা আমার সবগুলো নিদর্শনকে অস্বীকার করলো। অবশেষে আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম। যেভাবে কোন মহা -পরাক্রমশালী পাকড়াও করে ► ক্বামার:৪২)

৭২. আল মুকাদ্দিম -► অগ্রবর্ত্তীকারী -► (The Expediter)

৭৩. আল মুয়াখখির -► পশ্চাদবর্ত্তীকারী, অবকাশপ্রদানকারী -► (আল্লাহ তোমাদের গোনাহ মাফ করে দেবেন এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তোমাদের অবকাশ দেবেন। প্রকৃত ব্যাপার হলো, আল্লাহর নির্ধারিত সময় যখন এসে যায় তখন তা থেকে বাঁচা যায় না। আহ্! যদি তোমরা তা জানতে ► নুহ:০৪)

৭৪. আল আওয়াল -► অনাদী, প্রথম -► (তিনিই আদি তিনি অনন্ত এবং তিনিই প্রকাশিত তিনিই গোপন । তিনি সব বিষয়ে অবহিত ► হাদীদ:০৩)

৭৫. আল আখির -► অনন্ত -► (তিনিই আদি তিনি অনন্ত এবং তিনিই প্রকাশিত তিনিই গোপন । তিনি সব বিষয়ে অবহিত ► হাদীদ:০৩)

৭৬. আল জাহির -► প্রকাশ্য -► (তিনিই আদি তিনি অনন্ত এবং তিনিই প্রকাশিত তিনিই গোপন । তিনি সব বিষয়ে অবহিত ► হাদীদ:০৩)

৭৭. আল বাতিন -► গুপ্ত -► (তিনিই আদি তিনি অনন্ত এবং তিনিই প্রকাশিত তিনিই গোপন । তিনি সব বিষয়ে অবহিত ► হাদীদ:০৩)

৭৮. আল ওয়ালী -► কার্য্য নির্বাহক (হাদীসে কুদসী)

৭৯. আল মুতা’আলী -► সুউচ্চ, The Most Exalted -► (আল্লাহ প্রত্যেক গর্ভবতীর গর্ভ সম্পর্কে জানেন। যা কিছু তার মধ্যে গঠিত হয় তাও তিনি জানেন এবং যাকিছু তার মধ্যে কমবেশী হয় সে সম্পর্কেও তিনি খবর রাখেন। তাঁর কাছে প্রত্যেক জিনিসের জন্য একটি পরিমাণ নির্দিষ্ট রয়েছে। তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যমান প্রত্যেক জিনিসের জ্ঞান রাখেন। তিনি মহান ও সর্বাবস্থায় সবার ওপর অবস্থান করেন ► রা’দ:০৯)

৮০. আল বার্‌র -► ন্যায়বান -► (তারা বলবে আমরা প্রথমে নিজের পরিবারের লোকদের মধ্যে ভয়ে ভয়ে জীবন যাপন করতাম। পরিশেষে আল্লাহ আমাদের ওপর মেহেরবানী করেছেন এবং দগ্ধকারী আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করেছেন। অতীত জীবনে আমরা তাঁর কাছেই দোয়া করতাম সত্যিই তিনি অতি বড় উপকারী ও দয়াবান ► তুর:২৮)

৮১. আত তাওয়াব -► তওবা গ্রহণকারী -►(হে ঈমানদাগণ, বেশী ধারণা ও অনুমান করা থেকে বিরত থাকো কারণ কোন কোন ধারণা ও অনুমান গোনাহ। দোষ অন্বেষন করো না। আর তোমাদের কেউ যেন কারো গীবত না করে। এমন কেউ কি তোমাদের মধ্যে আছে, যে তার নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করবে ? দেখো, তা খেতে তোমাদের ঘৃণা হয়। আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ অধিক পরিমাণে তাওবা কবুলকারী এবং দয়ালু ► হুজরাত:১২)

৮২. আল মুনতাকিম -► প্রতিশোধ গ্রহণকারী -► (যেদিন আমি বড় আঘাত করবো, সেদিন আমি তোমাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবো। আমি এর আগে ফেরাউনের কওমকেও এই পরীক্ষায় ফেলেছিলাম । তাদের কাছে একজন সম্ভ্রান্ত রসূল এসেছিলেন ► দুখান:১৬)

৮৩. আল আফউ -► ক্ষমাকারী -► (এতো হচ্ছে তাদের অবস্থা, আর যে ব্যক্তি প্রতিশোধ নেয় ঠিক যেমন তার সাথে করা হয়েছে তেমনি এবং তারপর তার ওপর বাড়াবাড়িও করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে আল্লাহ অবশ্যই তাকে সাহায্য করবেন, আল্লাহ গোনাহমাফকারী ও ক্ষমাশীল ► হাজ্জ্ব:৬০)

৮৪. আর রাউফ -► কোমল হৃদয় -►(আল্লাহ নবীকে মাফ করে দিয়েছেন এবং অত্যন্ত কঠিন সময়ে যে মুহাজির ও আনসারগণ নবীর সাথে সহযোগীতা করেন তাদেরকেও মাফ করে দিয়েছেন। যদিও তাদের মধ্যে থেকে কিছু লোকের দিল বক্রতার দিকে আকৃষ্ট হতে যাচ্ছিল (কিন্তু তারা এ বক্রতার অনুগামী না হয়ে নবীর সহযোগী হয়েছেন।ফলে) আল্লাহ তাদেরকে মাফ করে দিয়েছেন। নিসন্দেহে এ লোকদের প্রতি তিনি স্নেহশীল ও মেহেরবান ► তাওবা:১১৭)

৮৫. মালিক-উল-মুলক -► রাজ্যের মালিক -► (বলোঃ হে আল্লাহ ! বিশ্ব –জাহানের মালিক! তুমি যাকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করো এবং যার থেকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নাও। যাকে চাও মর্যাদা ও ইজ্জত দান করো এবং যাকে চাও লাঞ্জিত ও হেয় করো। কল্যাণ তোমরা হাতেই নিহিত । নিসন্দেহে তুমি সবকিছুর ওপর শক্তিশালী । ► ইমরান:২৬)

৮৬. যুল জালাল ওয়াল ইকরাম -► মহিমান্বিত ও মাহাত্ম্যপূর্ণ -► (ঐ সব জান্নাতবাসী সবুজ গালিচা ও সুক্ষ্ম পরিমার্জিত অনুপম ফরাশের ওপর হেলান দিয়ে বসবে। তোমাদের রবের কোন্ কোন্ দান তোমরা অস্বীকার করবে? তোমার মহিমান্বিত ও দাতা রবের নাম অত্যন্ত কল্যাণময়। ► আর-রহমান:২৭)

৮৭. আল মুকসিত -► ন্যায়পরায়ণ -► (আল্লাহ নিজেই সাক্ষ দিয়েছেন , তিনি ছাড়া আর কোন ইলাই নেই। আর ফেরেশতা ও সকল জ্ঞানবান লোকই সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে এ সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, সেই প্রবল পরাক্রান্ত ও জ্ঞানবান সত্তা ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই ► ইমরান:১৮)

৮৮. আল জামি -► একত্রীকরণকারী -► (হে আমাদের রব! অবশ্যি তুমি সমগ্র মানব জাতিকে একদিন একত্রে সমবেত করবে, যে দিনটির আগমনের ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তুমি কখনো ওয়াদা থেকে বিচ্যুত হও না।’’ ► ইমরান:০৯)

৮৯. আল গানী -► সম্পদশালী -► (দেখো, তোমাদেরকে আল্লাহর পথে অর্থ-সম্পদ ব্যয় করতে আহ্বান জানানো হচ্ছে অথচ তোমাদের মধ্যকার কিছু লোক কৃপণতা করেছে। যারা কৃপণতা করে তারা প্রকৃতপক্ষে নিজের সাথেই কৃপণতা করছে। আল্লাহ যারা কৃপণতা করে তারা প্রকৃতপক্ষে নিজের সাথেই কৃপণতা করছে। আল্লাহ তো অভাব শূন্য। তোমরাই তার মুখাপেক্ষী। তোমরা যদি মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে আল্লাহ তোমাদের স্থানে অন্য কোন জাতিকে নিয়ে আসবেন। তারা তোমাদের মত হবে না ► মুহাম্মাদ:৩৮)

৯০. আল মুগনি -► অভাব মোচনকারী -► (হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র, কাজেই এ বছরের পর তারা যেন আর মসজিদে হারামের কাছে না আসে। ২৫ আর যদি তোমাদের দারিদ্রের ভয় থাকে, তাহলে আল্লাহ চাইলে তার নিজ অনুগ্রহে শীঘ্রই তোমাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন । আল্লাহ সবকিছু জানেন ও তিনি প্রজ্ঞাময় ► তাওবা:২৮)

৯১. আল মানি -► প্রতিরোধকারী -► (The Preventer of harm ► হাদীসে কুদসী)

৯২. আদ দারর -► অকল্যাণকর্তা -► (The Afflicter► হাদীসে কুদসী)

৯৩. আন নাফি -► কল্যাণকর্তা -► (The Benefiter► হাদীসে কুদসী)

৯৪. আন নূর -► জ্যোতি -► (আল্লাহ আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর আলো । (বিশ্ব-জাহানে) তাঁর আলোর উপমা যেন একটি তাকে একটি প্রদীপ রাখা আছে, প্রদীপটি আছে একটি চিমনির মধ্যে, চিমনিটি দেখতে এমন যেন মুক্তোর মতো ঝকঝকে নক্ষত্র, আর এ প্রদীপটি যয়তুনের এমন একটি মুবারক গাছের তেল দিয়ে উজ্জল করা হয়, যা পূর্বেরও নয়, পশ্চিমেরও নয়। যার তেল আপনা আপনিই জ্বলে ওঠে, চাই আগুন তাকে স্পর্শ করুক বা না করুক । (এভাবে ) আলোর ওপরে আলো (বৃদ্ধির সমস্ত উপকরণ একত্র হয়ে গেছে) আল্লাহ যাকে চান নিজের আলোর দিকে পথনির্দেশ করেন । তিনি উপমার সাহায্যে লোকদের কথা বুঝান। তিনি প্রত্যেকটি জিনিস খুব ভালো করেই জানেন ► নুর:৩৫)

৯৫. আল হাদী -► পথ প্রদর্শক -►((হে নবী!) আমি তোমার কাছে অহীর মাধ্যমে যে কিতাব পাঠিয়েছি সেটিই সত্য, সত্যায়িত করে এসেছ তার পূর্বে আগত কিবাতগুলোকে। অবশ্যই আল্লাহ নিজের বান্দাদের অবস্থা অবগত আছেন এবং সব জিনিসের প্রতি দৃষ্টি রাখেন ► ফাতির:৩১)

৯৬. আল বাদী -► অভিনব সৃষ্টিকারী -► (তিনি আকাশসমূহ ও পৃথিবীর স্রষ্টা । তিনি যে বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেন সে সম্পর্কে কেবলমাত্র হুকুম দেন ‘হও’ , তাহলেই তা হয়ে যায় ► বাকারা:১১৭)

৯৭. আল বাকী -► চিরস্থায়ী -► (এ ভূপৃষ্ঠের প্রতিটি জিনিসই ধ্বংস হয়ে যাবে এবং তোমার মহীয়ান ও দয়াবান রবের সত্তাই অবশিষ্ট থাকবে ► আর রহমান:২৭)

৯৮. আল ওয়ারিছ -► উত্তরাধিকারী -► (বৃষ্টিবাহী বায়ু আমিই পাঠাই। তারপর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি এবং এ পানি দিয়ে তোমাদের পিপাসা মিটাই। এ সম্পদের ভাণ্ডার তোমাদের হাতে নেই। জীবন ও মৃত্যু আমিই দান করি এবং আমিই হবো সবার উত্তরাধিকারী ► আর হিজর:২৩)

৯৯. আল রাশীদ -► সত্যদর্শী -► (The Guide► হাদীসে কুদসী)