ইংরেজিতে মূল প্রবন্ধ লিখেছেনঃ এড গ্রাবিয়ানোস্কি
এই
প্রবন্ধে ব্যবহৃত পরিভাষাসমূহঃ
air
conditioner = তাপানুকুল যন্ত্র;
byproduct = উপজাত;
chain
reaction = শৃঙ্খলিত প্রতিক্রিয়া;
combustion =
দহন;
coral reef =
প্রবাল প্রাচীর;
cropping
season = ফসলী ঋতূ;
data = উপাত্ত;
desertification
= মরুকরণ;
ecosystem = বাস্তুতন্ত্র;
feedback = ফীডব্যাক;
glacier = হিমবাহ;
global
warming = বৈশ্বিক উষ্ণায়ন;
greenhouse
effect = গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়া;
infrared
radiation = অবলোহিত বিকিরন;
landfill = আবর্জনাভূমি, বর্জ্যভূমি
১.
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কী
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন (Global Warming) বা বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি এই কথাগুলি মোটামুটি নতুন। কিছুদিন আগেও শুধুমাত্র গুটিকয়েক বিজ্ঞানী, যারা দশকের পর দশক ধরে দীর্ঘমেয়াদী পরিবেশ দূষনের ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তনের ব্যাপারে ক্রমেই সচেতন হয়ে উঠছিলেন, তারাই এ কথাটির অর্থ বুঝতে পারতেন। বর্তমানে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ব্যাপারটা সকলে খুব ভালভাবে না বুঝলেও মোটামুটি ভাবে জানেন। তাই ইদানিং কেউ যদি গরম দিন বা অদ্ভুদ ঝড় দেখে বলে "এটা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন", তাহলে সেটাকে আর অস্বাভাবিক কিছু বলে মনে হয় না।
তা
বটে! এই নিবন্ধে আমরা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কি, এটার কারণ এবং এটার প্রভাবে কি হতে পারে তা জানব। বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির ব্যাপারটা কিন্তু সকলে বিশ্বাস করে না, এমনকি এটা ঘটছে কি না তাও জানেনা। আর কারো কারো কাছে এটা দুশ্চিন্তা করার মত কোন বিষয় বলেই মনে হয় না।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বা বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ব্যাপারটা বুঝতে হলে প্রথমে আমাদেরকে জলবায়ু আর আবহাওয়ার মধ্যের সম্পর্কটা বুঝতে হবে।

২.
আবহাওয়া ও জলবায়ু
আবহাওয়া হচ্ছে স্থানীয় এবং ক্ষনস্থায়ী। আগামী মঙ্গলবার আপনি যে শহরে থাকেন সেখানে বরফ পড়ে তাহলে সেটাই ঐ শহরের তখনকার আবহাওয়া। জলবায়ু অনেক দীর্ঘমেয়াদী বৈশিষ্ট এবং এটা ছোট জায়গার সাথে সম্পর্কিত না। একটি অঞ্চলের দীর্ঘ সময়ের গড় আবহাওয়াকে ঐ অঞ্চলে অবস্থিত কোন স্থানের জলবায়ু বলে। বিশ্বের যে জায়গায় আপনি থাকেন সেখানে যদি শীতকালে খুব ঠান্ডা হয় আর প্রচুর বরফ পড়ে তাহলে সেটাকেই ঐ অঞ্চলের জলবায়ুর বৈশিষ্ট বলা যায়। আর ঐতিহাসিক ভাবে যদি একটি স্থানে প্রতিবার শীত কালে খুব ঠান্ডা থাকে আর বরফ পড়ে, তাহলে ভবিষ্যতেও শীতকালে একই রকম আবহাওয়া থাকবে বলে আশা করা যায়।
জলবায়ু সম্পর্কে বলার সময় দীর্ঘমেয়াদী বলতে সত্য সত্যই অত্যন্ত দীর্ঘ সময় বুঝানো হয়। এমনকি কয়েকশ বছরকেও জলবায়ুর ক্ষেত্রে যথেষ্ট ছোট সময় ধরা হয়ে থাকে। সত্যি কথা বলতে কি, জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্য দশ হাজার বছরেরও বেশি সময় লেগে যায়। এর মানে এই দাড়াচ্ছে যে, যদি পর পর এক দুই বা তিন বছর শীতের সময় ঠান্ডা কম পড়ে তাহলেই জলবায়ু পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে, এমন ভাবার কোন কারণ নাই। এটাকে শুধুই একটা ব্যতিক্রম বলা যায়, কারণ এটা স্বাভাবিক ধরনের চেয়ে একটু অন্যরকম কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী কোন পরিবর্তন ইঙ্গিত করে না।

চিত্রঃ যুক্তরাস্ট্রে ১৮৯৫-২০০৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী মাসের গড় তাপমাত্রা এখানকার জলবায়ু নির্দেশ করছে [ NOAAর সৌজন্যে]
আবার এটাও জানা দরকারী যে, জলবায়ুর সামান্য পরিবর্তনের ফলাফল ব্যাপক হতে পারে। বিজ্ঞানীরা যখন বরফ যুগের কথা বলেন তখন চারিদিকে বরফ ঢাকা আর ঠান্ডায় জমে যাওয়ার মত আবহাওয়ার কথাই বুঝান। সত্যি কথা বলতে কি, শেষবার যখন বরফযুগ ছিল (প্রায় প্রতি ৫০,০০০ থেকে ১০০,০০০ বছর পরপর একবার করে বরফযুগ এসেছিল), তখন পৃথিবীপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা ছিল মাত্র ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যা এখনকার গড় তাপমাত্রার চেয়ে অনেক ঠান্ডা। [তথ্যসূত্র]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন