জার্মানির কুখ্যাত স্বৈরশাসক এবং নাৎিস দল ও বাহিনীর প্রধান অ্যাডল্ফ হিটলার কাউকে ভয় পান না—নিজের সম্পর্কে তিনি এমন একটা ধারণাই মানুষের মনে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। নির্বিচারে হত্যা করেছেন কয়েক কোটি মানুষ। তিনি কাউকে ভয় না পেয়ে নির্বিকারে চালিয়েছেন হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ। অথচ আপাত নির্ভীক এ শাসক ভয় পেতেন শুধু দাঁতের চিকিৎসকদের!
সম্প্রতি ‘ডেন্টিস্ট অব দ্য ডেভিল’ বইয়ে হিটলারের ব্যক্তিগত দাঁতের চিকিৎসক জোহানেস ব্ল্যাচেখের বরাত দিয়ে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ওই চিকিৎসক জানান, দাঁতের অতি পরিচিত চিকিৎসাপদ্ধতি সাধারণ রুট ক্যানেল করার জন্য হিটলারের পেছনে আট দিন ঘুরতে হয়েছিল তাঁকে। কারণ, হিটলার ওই চিকিৎসায় ব্যথার ভয়ে ডাক্তারের সামনেই যেতে চাইতেন না। শুধু তা-ই নয়, দাঁতের অবস্থা খারাপ থাকায় হিটলারের মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হতো। তাঁর দাঁতের মাড়িতে পুঁজ ছিল, যা থেকে পুঁজ বের হতো। ১৯৪৪ সালের দিকে অ্যাডল্ফ হিটলারের ১০টি দাঁত ফিলিং করা হয়েছিল।
আলোচিত বইটির লেখকের নাম মেনেভসে ডিপ্রেম হেনন। তিনি ব্ল্যাচেখের কাছ থেকে নেওয়া হিটলারের চিকিৎসাসংক্রান্ত ছয় বছরের কাগজপত্র ঘেঁটে এসব তথ্য জোগাড় করেছেন। তিনি জানান, হিটলারের দাঁতের চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালনে ব্ল্যাচেখ যতটা উৎসাহী ছিলেন, তাঁর কাছ থেকে চিকিৎসা নেওয়ার ব্যাপারে হিটলার ছিলেন ততটাই নিরুৎসাহী। দাঁতের চিকিৎসার জন্য ‘ডেন্টিস্ট চেয়ার’-এ বসাটাই ছিল তাঁর জন্য অনেক ভয় আর আতঙ্কের।
বইয়ে বলা হয়েছে, হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় স্পেনের জেনারেল ফ্রাংকোকে নিজের দলে টানতে না পারার দুঃখে তাঁর মিত্র ইতালির একনায়ক মুসোলিনিকে বলেছিলেন, ফ্রাংকোকে এ ব্যাপারে রাজি করানোর চেয়ে আমার দুই-তিনটা দাঁত ফেলে দেওয়া অনেক ভালো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন