ডাইনোসরের রঙিন পালক ছিল : ডাইনোসরদের ওই রঙিন পালক সঙ্গী নির্বাচনে তাদের সহায়তা করত। ওই রঙিন পালক দেখেই হয়তো অন্য ডাইনোসররা প্রেমে পড়ে যেত
দানব প্রাণী ডাইনোসর নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। শেষ নেই কল্পকাহিনী আর জল্পনারও। ফসিলভিক গবেষণার পথ ধরে ইরই মধ্যে প্রাণীটি সম্পর্কে আদ্যোপান্ত বহু কিছুই জানা গেছে। এখন নতুন সংযোজন হলো বহু বর্ণের পালক বা লোম। বিজ্ঞানীরা সাম্প্রতিক এক গবেষণা শেষে বলেছেন, ১৫ কোটি বছর আগে মারা যাওয়া এ ডাইনোসরের ফসিল পরীক্ষা করে তারা দেখেছেন, সেটির বহু বর্ণের অর্থাত্ নানা রংয়ের পালক বা লোম ছিল। বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সায়েন্সের সাম্প্রতিক গবেষণার ফল বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে। এ গবেষকরা জানান, পাখির পালকে যেমন রংয়ের ছোপ থাকে, ওই ফসিলেও তেমনটি থাকার ইঙ্গিত স্পষ্ট। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিচার্ড প্রাম বলেছেন, ওই ডাইনোসরটি যদি এখন জীবিত থাকত তাহলে সেটি হতো বিরাজমান প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষীপ্র। তিনি গবেষণা পত্রের যুগ্ম রচয়িতা।
ধারণা করা হয়, ডাইনোসরদের ওই রঙিন পালক সঙ্গী নির্বাচনে তাদের সহায়তা করত। ওই রঙিন পালক দেখেই হয়তো অন্য ডাইনোসররা প্রেমে পড়ে যেত। যে ডাইনোসরটির ফসিল নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে তার বৈজ্ঞানিক নাম অ্যানচিঅরনিস হাক্সলেই। তার ছিল চারটি ডানা। জুরাসিক যুগে চীনে ছিল তার বাস। তার ফসিলটি চমত্কারভাবে সুসংরক্ষিত এলাকায় গবেষকরা তাদের পরীক্ষার জন্য এটিকে বেছে নিয়েছেন।
গবেষকদের ধারণা, ডাইনোসরটির শরীরের রং ছিল ধূসর, ঝুঁটি ছিল লালচে বাদামি, মুখে ছিল দাগ এবং ডানা ও পায়ে ছিল সাদা পালকের মাথায় কালো ছোপ। বিজ্ঞানীরা জানান, ডানা এবং পায়ের পালকের যে প্যাটার্ন, তা আধুনিক স্পাংলেড হ্যামবার্গ মুরগির সঙ্গে মিলে যায়। এই প্রথমবারের মতো প্রাণীটির সারা দেহের রং বিশ্লেষণের জন্য পুরো ফসিলটি নিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
এই গবেষণা প্রকল্পের কর্মী ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্ম বিজ্ঞানী জ্যাকব ভিনথার বলেছেন, ডাইনোসরটি যেন ছিল বড় আকারের মুরগির মতো, তবে হালকা-পাতলা গড়ন এবং মার্জিত। অর্থাত্ দেখতে কুিসত নয়। ফসিলটাও অসাধারণ অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। প্রায় সব পালকেই দেখা যাচ্ছে এবং সেগুলো আটকে আছে হাড়ের সঙ্গে। পুরো দেহ থেকেই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। ডাইনোসরটির চারটি ডানা হয়তো তাদের এক গাছ থেকে অন্য গাছে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করত।
চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা প্রথমে আধুনিক বিভিন্ন পাখির ২৬টি পালক সংগ্রহ করেছেন এবং তাদের আবারও ভেতরে থাকা রঞ্জক পদার্থের কাঠামো লক্ষ্য করে দেখেছেন। তারপর এর সঙ্গেই তুলনা করেছেন ফসিলে রঞ্জক পদার্থের আকার ও কাঠামোর সঙ্গে। ভিনথার বলছেন, কোনো প্রাণীর যদি সাদা ও কালো পালক থাকে, তাহলে কেবল কালো পালকই ফসিলটির হতে পারবে। তাদের ছুটে চলায় ওই পালকের হয়তো ভূমিকা ছিল না, সেগুলো হয়তো ছিল কেবল প্রদর্শনের জন্যই। আর যদি তাই হয়, তাহলে এটাই স্পষ্ট ওয়ে ওঠে যে, সঙ্গীকে আকর্ষণ করাই ছিল সেই পালকের লক্ষ্য।
দানব প্রাণী ডাইনোসর নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। শেষ নেই কল্পকাহিনী আর জল্পনারও। ফসিলভিক গবেষণার পথ ধরে ইরই মধ্যে প্রাণীটি সম্পর্কে আদ্যোপান্ত বহু কিছুই জানা গেছে। এখন নতুন সংযোজন হলো বহু বর্ণের পালক বা লোম। বিজ্ঞানীরা সাম্প্রতিক এক গবেষণা শেষে বলেছেন, ১৫ কোটি বছর আগে মারা যাওয়া এ ডাইনোসরের ফসিল পরীক্ষা করে তারা দেখেছেন, সেটির বহু বর্ণের অর্থাত্ নানা রংয়ের পালক বা লোম ছিল। বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সায়েন্সের সাম্প্রতিক গবেষণার ফল বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে। এ গবেষকরা জানান, পাখির পালকে যেমন রংয়ের ছোপ থাকে, ওই ফসিলেও তেমনটি থাকার ইঙ্গিত স্পষ্ট। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিচার্ড প্রাম বলেছেন, ওই ডাইনোসরটি যদি এখন জীবিত থাকত তাহলে সেটি হতো বিরাজমান প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষীপ্র। তিনি গবেষণা পত্রের যুগ্ম রচয়িতা।
ধারণা করা হয়, ডাইনোসরদের ওই রঙিন পালক সঙ্গী নির্বাচনে তাদের সহায়তা করত। ওই রঙিন পালক দেখেই হয়তো অন্য ডাইনোসররা প্রেমে পড়ে যেত। যে ডাইনোসরটির ফসিল নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে তার বৈজ্ঞানিক নাম অ্যানচিঅরনিস হাক্সলেই। তার ছিল চারটি ডানা। জুরাসিক যুগে চীনে ছিল তার বাস। তার ফসিলটি চমত্কারভাবে সুসংরক্ষিত এলাকায় গবেষকরা তাদের পরীক্ষার জন্য এটিকে বেছে নিয়েছেন।
গবেষকদের ধারণা, ডাইনোসরটির শরীরের রং ছিল ধূসর, ঝুঁটি ছিল লালচে বাদামি, মুখে ছিল দাগ এবং ডানা ও পায়ে ছিল সাদা পালকের মাথায় কালো ছোপ। বিজ্ঞানীরা জানান, ডানা এবং পায়ের পালকের যে প্যাটার্ন, তা আধুনিক স্পাংলেড হ্যামবার্গ মুরগির সঙ্গে মিলে যায়। এই প্রথমবারের মতো প্রাণীটির সারা দেহের রং বিশ্লেষণের জন্য পুরো ফসিলটি নিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
এই গবেষণা প্রকল্পের কর্মী ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্ম বিজ্ঞানী জ্যাকব ভিনথার বলেছেন, ডাইনোসরটি যেন ছিল বড় আকারের মুরগির মতো, তবে হালকা-পাতলা গড়ন এবং মার্জিত। অর্থাত্ দেখতে কুিসত নয়। ফসিলটাও অসাধারণ অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। প্রায় সব পালকেই দেখা যাচ্ছে এবং সেগুলো আটকে আছে হাড়ের সঙ্গে। পুরো দেহ থেকেই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। ডাইনোসরটির চারটি ডানা হয়তো তাদের এক গাছ থেকে অন্য গাছে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করত।
চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা প্রথমে আধুনিক বিভিন্ন পাখির ২৬টি পালক সংগ্রহ করেছেন এবং তাদের আবারও ভেতরে থাকা রঞ্জক পদার্থের কাঠামো লক্ষ্য করে দেখেছেন। তারপর এর সঙ্গেই তুলনা করেছেন ফসিলে রঞ্জক পদার্থের আকার ও কাঠামোর সঙ্গে। ভিনথার বলছেন, কোনো প্রাণীর যদি সাদা ও কালো পালক থাকে, তাহলে কেবল কালো পালকই ফসিলটির হতে পারবে। তাদের ছুটে চলায় ওই পালকের হয়তো ভূমিকা ছিল না, সেগুলো হয়তো ছিল কেবল প্রদর্শনের জন্যই। আর যদি তাই হয়, তাহলে এটাই স্পষ্ট ওয়ে ওঠে যে, সঙ্গীকে আকর্ষণ করাই ছিল সেই পালকের লক্ষ্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন